অর্থনীতিকর্পোরেটপ্রযুক্তিবিদেশ

বৈদ্যুতিক গাড়ি বাতাসে বেশি বিষাক্ত কণা নিঃসরণ করে

বিজনেস বার্তা ডেস্ক: জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি। তেল ব্যবহার না করার কারণে বৈদ্যুতিক গাড়িকে পরিবেশবান্ধব হিসেবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আর তাই বিশ্বের সব বড় বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই তৈরি করছে বৈদ্যুতিক গাড়ি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক গাড়ি বাতাসে বেশি বিষাক্ত কণা নিঃসরণ করে এবং গ্যাসচালিত গাড়ির তুলনায় পরিবেশের জন্য তা বেশি ক্ষতিকর। সূত্র: ডেইলি মেইল

এক গবেষণায় দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক গাড়ির চাকা ও ব্রেক গ্যাসচালিত গাড়ির টেইলপাইপের তুলনায় এক হাজার ৮৫০ গুণ বেশি কণা বাতাসে নিঃসরণ করে। টেইলপাইপে এক ধরনের ফিল্টার থাকে, যার ফলে গ্যাসচালিত গাড়ি তুলনামূলক কম ক্ষতিকর কণা বাতাসে নিঃসরণ করে। ব্যাটারির কারণে সাধারণ গ্যাসচালিত গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ওজন প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি হয়। আর তাই সাধারণ গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির টায়ার ও ব্রেক দ্রুত ক্ষয় হওয়ার কারণে বাতাসে বেশি পরিমাণে ক্ষতিকর কণা নির্গমন করে। ‘এমিশন অ্যানালিটিকস’ পরিচালিত এ গবেষণার ফলাফল ২০২২ সালে প্রকাশিত হলেও অনেকেরই নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে গবেষণাটির ফলাফল উল্লেখ করার পর নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এমিশন অ্যানালিটিকসের গবেষণার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেশাম রাখা বলেন, গবেষণার তথ্য ‘আংশিকভাবে সঠিক’। কারণ, ওজন বেশি হওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাকা বাতাসে বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক নির্গত করে। এটি এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলস) গাড়ির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ির চাকা থেকে ঠিক কী পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক নিঃসরণ হয়, তা জানা বেশ কঠিন কাজ।

বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ি থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত কণার পরিমাণ শনাক্তের জন্য নতুন করে গবেষণা শুরু করেছে ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এ বিষয়ে হেশাম রাখা বলেন, বাতাসে বিষাক্ত কণা নির্গমনের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ির মধ্যে পার্থক্য ২০ শতাংশের মতো হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button