৫২৬ কোটি টাকা লুটপাট করেছে কেয়া গ্রুপ

কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে ৫২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

প্রথম মামলায় মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. রেজওয়ানুল কবির, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ অমীয় কুমার মল্লিক ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম।
Keya Group Logo
এজাহারে বলা হয়েছে, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে কোনো প্রকার ঋণ অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম।

আরও বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!