বেক্সিমকো গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার তথ্য জানতে চায় সরকার

কিসের ভিত্তিতে ও কোন জামানতের বিপরীতে বেক্সিমকো গ্রুপকে বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা ব্যাংকগুলোর কাছে জানতে চেয়েছে সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথ্য জানতে চেয়েছে।

এছাড়া বর্তমানে গ্রুপটির কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এবং এসব সম্পদের মধ্যে কোনগুলো ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া, আর কোনগুলো বন্ধকের বাইরে রয়েছে, সেটিও সরকার জানতে চায়।

ব্যাংকগুলো প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, গ্রুপটির কাছে তাদের পাওনার পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। তবে এ হিসাব চূড়ান্ত নয়। আগামী মঙ্গলবার ঢাকায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় উপদেষ্টা কমিটির এক বৈঠকে তারা চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবে।

সচিবালয়ে গতকাল রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক সূত্রে এসব কথা জানা গেছে। এতে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, বাণিজ্য সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান এবং জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মজিবুর রহমানসহ ৯ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও আদালতের নিয়োগ দেওয়া বেক্সিমকো গ্রুপের প্রশাসক রুহুল আমিন এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর কাছে আমরা জানতে চেয়েছি তাদের কে, কত টাকা, কিসের ভিত্তিতে ঋণ দিয়েছে। এ টাকা উদ্ধারে তাদের পরিকল্পনা কী, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে ছক করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দেবে তারা। তখনই প্রকৃত চিত্র ওঠে আসবে।’

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে বেক্সিমকো গ্রুপের দায়ের পরিমাণ তুলে ধরেছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। সেদিন তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ১৬টি ব্যাংক ও ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায়ের পরিমাণ ৫০ হাজার ৯৮ দশমিক ৩ কোটি টাকা। এ হিসাব ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!