‘বিএটির’ ছয় কারখানা অনুমোদনহীন, কর্মপরিবেশ নেই

তদন্ত প্রতিবেদন

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো পিএলসি)। বহুজাতিক এই সিগারেট কোম্পানির কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে সাতটি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কর্মরত শ্রম আইন মানা হয় না। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নেই, কারখানা অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ছাড়া বাকি ছয়টি কারখানার অনুমোদন নেই। শ্রমিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর তদন্ত করেছে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছে। যাতে শ্রম আইন না মানা, কারখানা অনুমোদন না থাকা ও কর্মপরিবেশের সমস্যা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনে আজ থাকছে কারখানার অনুমোদন, অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কর্মপরিবেশ নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব।

** চেচুয়ার একটি, আল্লারদর্গার দুইটি, মেহেরপুরের একটি ও চুয়াডাঙ্গার একটি কারখানার অনুমোদন নেই
** রেভিনিউ স্ট্যাম্প ব্যবহার করে শ্রমিকের সই নেয়া হয় না, যার মাধ্যমে বিএটি বিপুল পরিমাণ করফাঁকি দিচ্ছে
** কারখানায় পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ও সরঞ্জাম নির্দিষ্ট পয়েন্টে কার্যকরভাবে প্রস্তুত রাখা হয়নি

BAT Kustia Factoray

তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণের সাতটি কারখানা। যার মধ্যে একটি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। বাকি ছয়টি কারখানার কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি। অননুমোদিত কারখানায় তো নিয়মের বালাই নেয়। অনুমোদিত কারখানায়ও নিয়ম মানা হয় না। শ্রমিকদের কর্মকক্ষে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নেই। রাখা হয়নি এক্সজাস্ট ফ্যান। তামাক প্রক্রিয়াকরণের সময় ধূলাবালি বা দূষিত বস্তু প্রতিরোধে নেই কোনো ব্যবস্থা। বেশিরভাগ শ্রমিকদের মাস্ক দেয়া হয় না। পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের জন্য পৃথক বিশ্রাম কক্ষ নেই। নেই চিকিৎসা ব্যবস্থা। নেই শিশু যত্ন ও পরিচর্যা কক্ষ নেই। প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয় এমন কারখানায় কাজ করলেও কোন শ্রমিক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা পায় না। কর্মকালীন দূর্ঘটনায় পতিত হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। এক কথায় কারখানায় শ্রমিকের কর্মপরিবেশ নেই। এছাড়া রয়েছে অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকি। পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা সরাঞ্জাম নেই। ঝুঁকিপূর্ণ সিঁড়ি। বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ) এর কারখানার এমন ভয়াবহ অনিয়ম, অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকি ও কর্মপরিবেশের বিষয়গুলো কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তদন্তে উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএটির মতো বহুজাতিক কোম্পানি যে শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে ব্যবসা করে, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে না। কারখানার কর্মপরিবেশ ঠিক করা হয় না। সরকারের উচিত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি), চৌড়হাস, কুষ্টিয়া (জিএলটি) কারখানাটি ৮ দশমিক ৯ একর জায়গার উপর অবস্থিত। কারখানাটি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে ‘তামাক প্রক্রিয়াক্ররণ’ হিসেবে নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। এতে বর্তমানে এক হাজার ৭৮১ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। বিএটি এই কারখানায় তামাক প্রক্রিয়াকরণ করে তা দেশের অভ্যন্তরে নিজস্ব অন্যান্য কারখানায় পাঠায় এবং বিদেশে রপ্তানি করে। তবে বিএটির কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর এলাকার আরও ছয়টি কারখানা রয়েছে। কিন্তু এসব কারখানা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে কোনো অনুমোদন নেয়নি বিএটি। এসব কারখানায় মোট এক হাজার ১৯২ জন শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। কারখানা ছয়টি হলো—কুষ্টিয়ার চেচুয়ায় একটি, আলারদর্গায় দুইটি, মেহেরপুরে দুইটি ও চুয়াডাঙ্গাতে একটি। ছয়টি কারখানার মধ্যে চেচুয়ার কারখানায় ৮৪০ জন, আল্লাহরদর্গার দুইটি কারখানায় ১৮৮ জন, চুয়াডাঙ্গার কারখানায় ৪৯ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।

BAT Kustia Factoray 1

অপরদিকে, চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কুষ্টিয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তারা কুষ্টিয়ার বিসিক এলাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শন করেন। এসময় কারখানায় শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও কারখানার ঝুঁকিসহ নানান অনিয়ম বা অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন, যা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব অনিয়ম ও সমস্যা দূরীকরণের বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএটির এই কারখানার যেসব কক্ষে শ্রমিকরা কাজ করেন, সেসব কক্ষে পর্যাপ্ত ও কার্যকর বায়ু বা বাতাস চলাচল ব্যবস্থা এবং আরামদায়ক উষতা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। পর্যাপ্ত পরিমাণ এক্সজস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়নি। কর্মকক্ষে যথাযথ মানসম্পন্ন তাপ পরিমাপ যন্ত্র (থার্মোমিটার) সচল অবস্থায় রাখা হয়নি। যা শ্রম বিধিমালার ৪৫ ও ৫২ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। কারখানায় চলাচলের পথ প্রতিবন্ধকতামুক্ত নয়। তামাক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিভিন্ন জটিল রোগ তামাক থেকে ছড়াই। তামাক প্রক্রিয়াকরণের সাথে জড়িত শ্রমিকরাই বেশি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। কর্মকর্তারা কারখানা পরিদর্শনের সময় দেখেছেন যে, কারখানায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বা অস্বস্তিকর ধুলা-বালি বা দূষিত বস্তু জমা হওয়া ও উহার শ্বসন প্রতিরোধে কারখানায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। কর্মরত প্রতিটি শ্রমিককে মাস্ক ব্যবহারের বিধান থাকলেও অনেক শ্রমিককে মাস্ক প্রদান করা হয়নি। কাউকে কাউকে তাদের ব্যবহূত গামছা, রুমাল ও ওড়না ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কারখানার অনেক স্থানে সম্পূর্ণ লোহার সিঁড়ি ও পাটাতন ব্যবহার করা হয়েছে।

কিন্তু অগ্নি দূর্ঘটনাসহ অন্যান্য দূর্ঘটনা এড়াতে মানসম্মত সিঁড়ি নেই। এছাড়া কারখানার জরুরি বর্হিগমন পথ ও দরজাসমূহের পথ স্পষ্ট নয়। প্রত্যেক ফ্লোরে সহজে দৃশ্যমান এক বা একাধিক স্থানে বর্হিগমন পথের নকশা প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেই। ফলে অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটলে ব্যাপক প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। পরিদর্শনে আরও দেখা গেছে, জরুরি বর্হিগমন পথের নির্দেশনা মুছে গেছে। এছাড়া অত্যন্ত ছোট ও অস্পষ্টভাবে বর্হিগমন পথের নকশা আছে, যা বিধি সম্মত নয়। প্রেসার ভেসেল ও বিপজ্জনক চালনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয় না। দূর্ঘটনার রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয় না। কারখানায় পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ও সরঞ্জাম নির্দিষ্ট পয়েন্টে কার্যকরভাবে প্রস্তুত রাখা হয়নি। বিধি ৫৫(১৩, ১৪) অনুযায়ী, কারখানায় অগ্নিনির্বাপণী পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়নি। প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার অগ্নিনির্বাপণ ও দূর্ঘটনার সময় জরুরি নির্গমনের মহগার আয়োজন করা এবং রেকর্ডবুক সংরক্ষণ করা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোন রেকর্ড সংরক্ষণ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিধি-৬৭ অনুযায়ী, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত শ্রমিকদের দৈহিক ক্ষতি বা জখমের আশঙ্কা রয়েছে—এই রূপ স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু কারখানায় তা দেখতে পায়নি কর্মকর্তারা। এছাড়া বিধি-৭৮ক অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের মালিক একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান করবেন। ওই কেন্দ্রে শ্রমিকদের কাজ চলাচকালীন চিকিৎসা করার জন্য মেডিক্যাল স্টাফ থাকতে হবে। কিন্তু বিএটির কারখানায় এই বিধি মানা হয় না। কারখানায় বিধি অনুযায়ী ৮০ ডিসিবল নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। কারখানার সকল প্রকার দূর্ঘটনা যেমন—প্রাণঘাতী, গুরুতর ও সামান্য এবং বিপজ্জনক ঘটনার বিষয়গুলি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় না।

BAT Kustia Factoray 2

প্রতিবেদন বলছে, কর্মকালীন দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিএটি কর্তৃক আক্রান্ত শ্রমিকদেতর পূর্ণ আরোগ্য পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয় না। কারখানার সিজনাল স্কিলড বা মৌসুমী শ্রমিক মুন্সী শওকত হোসেন তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, এই মৌসুমের শুরুতে তাকে কলআপ নোটিশ প্রদান করা হলেও কাজে নেয়া হচ্ছে না। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার চিকিৎসায় প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বিএটি তাকে দুই লাখ টাকা এবং তার সহকর্মীরা চাঁদা তুলে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। শ্রম আইন অনুযায়ী, তাকে কোনো অক্ষমতার প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়নি। বর্তমানে তিনি সিওপিডি রোগে আক্রান্ত। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। কারখানায় শ্রমিকদের নিয়ে সেফটি কমিটি গঠন করা হয়নি। শ্রম আদালত বিষয়ে রেকর্ড নেই।

অপরদিকে, কারখানায় শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের অসঙ্গতি ও অনিয়ম প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, শ্রমিকদের খাবার কক্ষের মান, নকশা ও আকার নিয়েও সমস্যা রয়েছে। পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের জন্য পৃথক ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্তভাবে আলোকিত ও মুক্ত বায়ু চলাচলের সুবিধা সম্বলিত বিশ্রাম কক্ষ বা খাবার কক্ষের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী শিশু কক্ষ ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থা নেই। শিশু কক্ষ ও ক্যান্টিনের নকশা পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। শিশু কক্ষের ব্যবস্থা নেই। ফলে কর্মজীবী শ্রমিকরা বেকায়দায় পড়েন। শিশুদের যত্ন ও পরিচর্যার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী কর্মচারী নিয়োগ করা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধি-৫৭ অনুযায়ী, চলমান যন্ত্রপাতি চালনা, পরীক্ষা বা মেরামতের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যন্ত্রপাতির কাজ সংশ্লিষ্ট বিপদ-আপদ সম্পর্কে বাস্তবে জ্ঞান দিতে হবে। ঝুঁকি ভাতা, পোশাক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরণ দিতে হবে। কিন্তু কারখানা শ্রমিকদের এই বিধি মানা হয় না।

অপরদিকে, বিএটির কারখানায় বিধি-১১১ মানা হয় না। বিধি-১১ অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি ও তার রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিটি কারখানায় নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের শ্রমিক রেজিস্টার অনুসারে মজুরিকাল অনুযায়ী মজুরি পরিশোধের একটি রেকর্ড (ফরম-৩৮) সংরক্ষণ করতে হবে। মজুরি পরিশোধের সময় মুদ্রিত কপিতে রেভিনিউ স্ট্যাম্প ব্যবহার করে শ্রমিকের সই গ্রহণ করতে হবে। পরিদর্শনের সময় জানা গেছে, কারখানায় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করা হয়। কিন্তু মুদ্রিত কপিতে রেভিনিউ স্ট্যাম্প ব্যবহার করে শ্রমিকের সই নেয়া হয় না। যার মাধ্যমে বিএটি বিপুল পরিমাণ করফাঁকি দিচ্ছে।

BAT Kustia Factoray 3

এই বিষয়ে সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বিজনেস বার্তাকে বলেন, আমাদের দেশে গার্মেন্টস খাতে হয়ত বায়ার বা ক্রেতাদের চাপ বা চাহিদার কারণে শ্রম আইন মানা হয়, অগ্নি নিরাপত্তা বা সুরক্ষার বিষয়ে সবার নজর রয়েছে। কিন্তু সিগারেটসহ অন্যান্য সকল খাতের প্রতিষ্ঠানে সেভাবে শ্রম আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অগ্নি নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। কিন্তু সিগারেট কোম্পানি বা বহুজাতিক কোম্পানি বলে তারা আইন মানবে না, তাতো কাম্য নয়। বরং তাদের আরো বেশি শ্রম আইন মানা উচিত। অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা, শ্রমিকদের সুরক্ষায় সব করা উচিত।

এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বিএটি বাংলাদেশ এর সঙ্গে বিজনেস বার্তার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। পরে একটি পিআর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লিখিত জবাব পাঠায় বিএটি। যাতে বিএটির মুখপাত্রের বরাতে বলা হয়, ‘দেশের সকল আইনানুগ নিয়মনীতি মেনে দীর্ঘ ১১৪ বছর ধরে এই দেশে সুনামের সাথে ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিএটি বাংলাদেশ। ব্যবসায়িক নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার মানদণ্ড অটুট রেখে বাংলাদেশের আইন মেনে কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে বিএটি বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর।’

** বিএটিতে শ্রমিকের শ্রম আছে, অধিকার নেই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!