বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় ধানমন্ডি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।
ডিবি কর্মকর্তা রেজাউল করিম মল্লিক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বলেন, তিনি দেশের আর্থিক খাত ধ্বংসকারীদের একজন। বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ২০২০ সালের ১৭ মে প্রথম দফায় বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। চার বছর দায়িত্ব পালনের পর পুনর্নিয়োগ পেয়ে গত বছরের ১৬ মে তিনি আবার বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১০ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে ফিরে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শিবলী রুবাইয়াত সশরীর না গিয়ে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে বিভাগে যোগদানপত্র জমা দেন। তবে তিনি ক্লাস নেন না।
শিবলী রুবাইয়াতের বিদেশযাত্রায় গত ৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা দেন।
আদালতে দুদকের আবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শিবলী রুবাইয়াতের বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। তিনি যেকোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে দুদক।
এ ছাড়া শিবলী রুবাইয়াত ও তাঁর ছেলে জুহায়ের সারার ইসলামের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের সব বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি কারসাজিকারকদের সহায়তা করতেন এবং তাঁর প্রশ্রয়ে একটি চক্র গড়ে ওঠে, যা শেয়ারবাজার থেকে অর্থ লোপাটে নানা সুবিধা পেত বলে অভিযোগ উঠেছে।