শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে ছয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪৪.৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০২১ সালে নিউলাইন ক্লথিংস ও পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের সঙ্গে এই কারসাজির ঘটনা ঘটে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় জরিমানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার পর বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএসইসি জানিয়েছে, নিউলাইন ক্লথিংসের শেয়ার কারসাজির দায়ে রিয়াজ মাহমুদ সরকার, আবুল বাশার, মো. সেলিম, মো. জামিল ও সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিংকে মোট ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে রিয়াজ মাহমুদ সরকারকে ১ কোটি ১৪ লাখ, আবুল বাশারকে ৪ কোটি ২ লাখ, মো. সেলিমকে ১ কোটি ৬৯ লাখ, মো. জামিলকে ২ কোটি ২০ লাখ এবং সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিংকে ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৪ মে থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত এই ব্যক্তিরা ও প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার কারসাজি করে। বিএসইসির তদন্তে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন সেই সময়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে প্রতিবেদন বন্ধ রাখে। সরকারের পরিবর্তনের পর গত বছরের আগস্টে নবগঠিত বিএসইসি পুরোনো কারসাজির ঘটনায় ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে দুই ব্যক্তিকে ৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বিএসইসির গতকালের সভায়। এর মধ্যে শেখ ফারুক আহমেদকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই ঘটনায় এনআরবি ব্যাংকের তৎকালীন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ কামরুল হাসানকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কামরুল হাসানকে পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রমে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।