খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কারখানার হিসাব বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেন। সিআইডির তদন্তে তার ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৫১ টাকার সম্পদের খোঁজ মেলে, যার মধ্যে দুর্নীতির টাকায় কেনা ৯১টি গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ২১টি মিনিবাস রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভাড়া দেওয়া হতো। তদন্ত শেষে আদালত ২৭ জানুয়ারি তার সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেয়। সিআইডির দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তদন্তে ইকবাল ও তার স্ত্রী হালিমা আক্তারের নামে ৪টি ফ্ল্যাট ও ২৯৯.১ শতাংশ জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের ফ্ল্যাটগুলোর মধ্যে রমনার মেহজাবীন স্কয়ারে ৩,৮৩৫ বর্গফুটের একটি, দক্ষিণখানের আইকন ভিলেজে ১,৫৯৯ বর্গফুটের একটি এবং রমনায় আরও দুটি (২,১০৬ ও ১,৩৬৮ বর্গফুট) ফ্ল্যাট রয়েছে। এসব ফ্ল্যাটের দলিল মূল্য প্রায় ২.৯৩ কোটি টাকা।এছাড়া, ইকবাল ও তার স্ত্রীর নামে ৭.১১ কোটি টাকার ২৯৯.১ শতাংশ জমির খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুরে ৬১ শতাংশ জমি রয়েছে, পাশাপাশি মুন্সীগঞ্জ ও ময়মনসিংহে একাধিক জায়গায় জমি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, ইকবাল ২০০৫ সালে শাহজালাল সার কারখানায় সহকারী হিসাবরক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং সেখানে এক যুগের বেশি সময় কাজ করেন। তিনি স্ত্রীর নামে দুটি নামসর্বস্ব কোম্পানি খুলে ভুয়া বিল ও রসিদ জমা দিয়ে ৩৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির নামে জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। ২০২৩ সালের এপ্রিলে তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা হয়। এ দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৬টি মামলা রয়েছে। ২০২২ সালে র্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে।