৬০ দিনের মধ্যে বেক্সিমকোকে অর্থ পরিশোধের নির্দেশ

বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবি) খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত ৩৬০ কোটি টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ অর্থ এখন থেকে ১২ শতাংশ হারে সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। রোববার (৩১ আগস্ট) ইউসিবির আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫ এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। এতে বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালক সালমান এফ রহমানসহ ছয় পরিচালককে দায়ী করা হয়েছে। তবে আদালতে বেক্সিমকো গ্রুপের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

অর্থঋণ আদালত আইনের ৬(৪) ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের হলফনামাকে মৌলিক সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে আদালত এ আদেশ দেন। ঋণ পরিশোধের নির্দেশনার তালিকায় রয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, চেয়ারম্যান আহমেদ সোহেল ফসিহুর রহমান (এএসএফ রহমান), পরিচালক ইকবাল আহমেদ, ওসমান কায়সার চৌধুরী, আবু বকর সিদ্দিকুর রহমান এবং রীম এইচ শামসুদ্দোহা। জানা গেছে, এএসএফ রহমান বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন এবং সালমান এফ রহমান কারাগারে রয়েছেন।

আদালতে উপস্থাপিত নথিপত্র অনুযায়ী ইউসিবির গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২০১৯ সালে ২৫০ কোটি টাকার চলতি মূলধন ঋণ নেয় বেক্সিমকো। ঋণ পরিশোধ না করে কয়েক দফা সীমা বাড়িয়ে নিয়মিত রাখা হয়। ২০২২ সালে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা দিয়ে ৩২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা পুনঃতপশিল করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে আবার ৩৩৪ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতপশিল করা হয়। এরপরও ঋণ পরিশোধ না করায় গত জুনে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ব্যাংক। এই ঋণের বিপরীতে পরিচালকদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি রয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট জনতা ব্যাংকের ২০৭ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় আসিফ অ্যাপারেলসের দুই মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন একই আদালত। এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ এবং তাঁর ছেলে ও পরিচালক আসিফ সালাউদ্দিনের ছয় মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দেওয়া হয়। গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান আসিফ অ্যাপারেলস জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখা থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় খেলাপি হয়। খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংক অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রির পরও কোনো অর্থ উদ্ধার সম্ভব না হওয়ায় কোম্পানির এমডি ও পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!