শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস গুদাম থেকে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এ তথ্য দিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। দুদক বলছে, প্রথমে থানা পুলিশ এবং পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাটি তদন্ত করে। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে মতামত দেয়, এটি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে পড়ে। সেই সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করা হয়। আদালত পরে বিষয়টি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদকে পাঠায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকা কাস্টম হাউসের কাস্টমস গুদামের একটি লকার থেকে সোনা চুরির ঘটনাটি সামনে আসে ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। ২০২৩ সালে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার, যার ওজন ৮ দশমিক শূন্য ২ কেজি এবং ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা ৩৮৯টি ডিএম বার, যার মোট ওজন ৪৭ দশমিক ৪৯ কেজি সোনা; মোট ৫৫ কেজি সোনা আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় সেদিন মামলা করেন ঢাকা কাস্টম হাউসের তৎকালীন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি সোনার বার এবং স্বর্ণালংকার কে বা কারা গুদামের স্টিলের লকার থেকে নিয়ে গেছে, যার আনুমানিক মূল্য ৪৫ কোটি টাকা। মামলা দায়েরের পরের দিন আটজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুম রানা, মো. সাইদুল ইসলাম শাহেদ, মো. শহিদুল ইসলাম, আকরাম শেখ এবং সিপাই মো. রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মো. আফজাল হোসেন ও মো. নিয়ামত হাওলাদার।