৪ টাকা ও ৩২ টাকা ভ্যাট দিয়ে জিতলেন ২৫ হাজার টাকা

বার্তা প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: ইএফডিতে কেনাকাটা করে ৪ টাকা ভ্যাট দিয়ে নাঈমুল ইসলাম ২৫ হাজার টাকা জিতেছেন। আর ৩২ টাকা ভ্যাট দিয়ে ২৫ হাজার টাকা জিতেছেন মো. সোহেল। এই দুইজন ভ্যাটদাতা চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে আগস্ট মাসে ইএফডিতে কেনাকাটা করে লটারিতে দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে ২৫ হাজার টাকা করে জিতেছেন। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চট্টলা ভ্যাট বিভাগীয় কার্যালয়ের আজিজা খানম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে ইএফডি লটারি বিজয়ী এই দুইজনের হাতে  পুরস্কারের চেক তুলে দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট থেকে জানানো হয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর এনবিআর সম্মেলন কক্ষে আগস্ট মাসে ইএফডি মেশিনের কেনাকাটার উপর ইএফডি লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। লটারিতে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটা করে দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ২৫ হাজার টাকার করে জিতেছেন। এর মধ্যে চান্দগাঁও ভ্যাট বিভাগের আওতাধীন বারকোড ফুড জাংশন থেকে ৬৯০ টাকায় চিকেন কর্ন স্যুপ ক্রয় করেন মো. সোহেল নামের একজন ক্রেতা। তিনি ইএফডি মেশিনে এই কেনাকাটার উপর ৩২ টাকা ৮৬ পয়সা ভ্যাট দিয়ে ইএফডিএমএস হতে ইস্যু করা চালান নিয়েছেন। অপরদিকে, চকবাজার ভ্যাট বিভাগের আওতাধীন ভান্ডারি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট হতে নাঈমুল ইসলামে নামের একজন ক্রেতা ৮৫ টাকা দিয়ে খাদ্য পণ্য ক্রয় করেন। তিনি ইএফডি মেশিনে এই কেনাকাটার উপর ৪ টাকা ৫ পয়সা ভ্যাট দিয়ে ইএফডিএমএস হতে ইস্যু করা চালান নিয়েছেন। দুইজন আগস্ট মাসের কেনাকাটার উপর লটারিতে দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ২৫ হাজার টাকা করে জিতেছেন।

02

আরো জানানো হয়েছে, ইএফডিএমএস হতে ইস্যুকৃত চালানের ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে আর্থিক পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০২১ অনুযায়ী বিজয়ীদের ইনভয়েস নম্বর, চালানের কপি, আইডি যাচাই করে পুরস্কারের চেক হস্তান্তরের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চট্টলা বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাতেন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের চেক হস্তান্তর করেন।

চেক হস্তান্তরকালে বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামে পুরস্কার বিজয়ীদের সংখ্যা বেশি। প্রায় প্রতিমাসে পুরস্কার প্রদানের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। ইএফডি চালান নিলে জনগণ প্রদত্ত ভ্যাটে সরকারের রাজস্ব সুরক্ষিত হয়। ইএফডি এর ব্যবহার জবাবদিহিমূলক। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে পারলে ভ্যাট আহরণের পাশাপাশি সবার মধ্যে অনন্য সংযোগ স্থাপন করা যাবে। দ্রুতগতিতে ও ব্যাপকভাবে সব জায়গায় ইএফডি বসানো গেলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সাধারণত পুরস্কার বিজয়ীদের খুঁজে পাওয়া যায় না। দেখা যাচ্ছে যাদের পাওয়া গেছে, তারা বেশির ভাগই চট্টগ্রামের। এতে প্রতীয়মান হয় যে চট্টগ্রামের ইএফডি সংক্রান্ত প্রচারণা ফলপ্রসু হয়েছে। ভ্যাট কর্মকর্তাদের উদ্ভাবনী প্রচারণার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে এ প্রচারণা বেগবান করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ভোক্তা বা ক্রেতা কর্তৃক প্রদত্ত ভ্যাট যাতে সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন দোকানে ইএফডি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেনাকাটার পর ইএফডি মেশিন হতে চালান গ্রহণ করলে ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হবে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ইতোপূর্বে স্থাপিত ১৪৯৯টি মেশিনের পাশাপাশি আরোও ৩৮৩টি মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতিটি ইএফডি মেশিন এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও ক্রেতা বা ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসের ৫ তারিখে এনবিআর একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করেছে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান সবাইকে কেনাকাটার সময় চালান সংগ্রহ করে তা লটারির জন্য সংরক্ষণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

###

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!