ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আকতার হোসেন জানিয়েছেন, চলতি আগস্ট বা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩১টি কোম্পানির জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা উপকরণ করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম কমানো হবে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন।
এদিকে, আজ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক তিন কোম্পানির ১০ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমানোর কথা জানিয়েছেন। নতুন দাম আগামী এক অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে, গত ৩ আগস্ট সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা এক আদেশে তিন কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়ে নতুন করে নির্ধারণ করা হয়। তবে একটি স্টেন্টের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে স্টেন্টের দাম ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আকতার হোসেন জানিয়েছেন, তিন কোম্পানির ১০ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম ইতিমধ্যে কমানো হয়েছে, যা আগে অনেক বেশি ছিল। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আরও ২৮টি কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমিয়ে মোট ৩১ কোম্পানির দাম হ্রাস করা হবে।
মেডট্রনিক, অ্যাবোট ভাসকুলার ও বস্টন সায়েন্টিফিকের হার্টের রিং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা সামগ্রীর দাম নির্ধারণে একটি স্থায়ী মূল্যনীতি থাকা উচিত, যাতে কেউ ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানো বা কমানো করতে না পারে। তবে তারা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রিং বিক্রি করবে।