আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ ফ্লাইটটি ২৪২ আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়েছে। সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে গুজরাটের মেঘানিনগর এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। একাধিক সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা ৫৬ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিধ্বস্ত ফ্লাইটটিতে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। বিমানে থাকা বাকি যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে বলেন, ‘আমি তখন ঘরে ছিলাম। হঠাৎ বিকট এক শব্দে চমকে উঠি। এরপর বাইরে বের হয়ে দেখি চারপাশে বিশৃঙ্খলা। দুর্ঘটনাস্থলে এসে দেখি, উড়োজাহাজটির ধ্বংসস্তূপ ও মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।’
অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের যাত্রীদের মধ্যে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও ছিলেন। লাইভমিন্টের তথ্য অনুযায়ী, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সিরিজের ওই এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিমানে ২ জন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বিমানে বিপর্যয়ের আশঙ্কা বুঝতে পেরে পাইলট ‘মে-ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন। তবে সংকেত পাঠালেও সময় খুবই কম ছিল—উড্ডয়নের মাত্র চার মিনিটের মাথায়ই বিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।