১৬.৬৭ টাকা ভ্যাট দিয়ে ‘লাখ টাকা’ জিতলেন ফরিদুল

বার্তা প্রতিবেদক: ৩৫০ টাকা দিয়ে চা, রুই মাছ আর চাল কিনলেন কক্সবাজারের ফরিদুল ইসলাম। যাতে ইএফডি চালানে ভ্যাট দিলেন ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা। তিনি জানতেন না তার জন্য চমক অপেক্ষা করছে। সামান্য কয়টা টাকা ভ্যাট দিয়ে তিনি জিতে নিলেন নগদ এক লাখ টাকা। ইএফডি মেশিনে কেনাকাটায় জুন মাসে ফরিদুল ইসলাম প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা জিতে নিয়েছেন। চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা করে ফরিদুল এই লাখ টাকা জিতেছেন। সোমবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের সৈকত সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রাজস্ব আহরণ বিষয়ক পর্যালোচনা সভার শুরুতে ফরিদুল ইসলামের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেক হস্তান্তর করেন এনবিআর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. মইনুল খান। অনুষ্ঠানে চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে দুইজনের হাতে চেক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।

EFD CTG 2

চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের তথ্যমতে, ফরিদুল ইসলামের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকায়। তিনি জুন মাসে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ওকে প্লাজার মদিনা হোটেল অ্যান্ড বিরানী হাউস থেকে ৩৫০ টাকার কেনাকাটা করেন। কেনাকাটার মধ্যে রয়েছে টি (চা), রুই মাছ ও প্লাইন রাইস। ইএফডি চালানে তিনি ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা ভ্যাট পরিশোধ করেন। মদিনা হোটেল অ্যান্ড বিরানী হাউস চান্দগাঁও ভ্যাট বিভাগীয় কার্যালয়ের আওতাধীন একটি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। জুন মাসে ইএফডি কেনাকাটার লটারিতে ভাগ্যবান ফরিদুল ইসলাম প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা জিতেছেন। চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ইএফডি চালানে ফরিদুল প্রথমবার প্রথম পুরস্কার হিসেবে লাখ টাকা জিতেছেন।

EFD CTG 3

এ ছাড়া জুন মাসে এই কমিশনারেটের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটা করে আরো দুইজন চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে জিতেছেন। এর মধ্যে একজন হলেন-ডবলমুরিং এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি আগ্রাবাদ এলাকায় ওয়েল ফুড থেকে ৬০০ টাকার মিষ্টি কিনে ৭৮ টাকা ২৬ পয়সা ভ্যাট দিয়েছেন। অপরজন হলেন-বন্দর এলাকার মো. নাছির উদ্দীন। তিনি পাঁচলাইশ এলাকার হোটেল জামান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বিরানী হাউস থেকে ৯০ টাকার সবজি ভাজি ও পুড়িং ক্রয় করেন। ইএফডি চালানে ৪ টাকা ২৭ পয়সা ভ্যাট পরিশোধ করেছেন। ইস্যুকৃত চালানের ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে আর্থিক পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০২১ অনুযায়ী বিজয়ীদের ইনভয়েস নম্বর, চালানের কপি, আইডি যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে পুরস্কারের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

294764084 425980909557277 1492329506395001481 n

অনুষ্ঠানে ড. মইনুল খান বলেন, চট্টগ্রামে পুরস্কার বিজয়ীদের সংখ্যা বেশি। প্রায় প্রতি মাসে পুরস্কার প্রদানের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। চালান নিলে জনগণ প্রদত্ত ভ্যাটে সরকারের রাজস্ব সুরক্ষিত হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে পারলে ভ্যাট আহরণের পাশাপাশি সবার মধ্যে অনন্য সংযোগ স্থাপন করা যাবে। দ্রুতগতিতে ও ব্যাপকভাবে সব জায়গায় ইএফডি বসানো গেলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। ইএফডি পুরস্কার বিজয়ীদের আন্তরিক অভিনন্দন। সাধারণত পুরস্কার বিজয়ীদের খুঁজে পাওয়া যায় না। দেখা যাচ্ছে যাদের পাওয়া গেছে, তারা বেশির ভাগই চট্টগ্রামের। চট্টগ্রামের জনগণ বেশিরভাগ সময় ইএফডি সংক্রান্ত প্রচারণা ফলপ্রসু হয়েছে। ভ্যাট কর্মকর্তাদের উদ্ভাবনী প্রচারণার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে এ প্রচারণা বেগবান করার নির্দেশনা প্রদান করেন। ইএফডির ব্যবহার জবাবদিহিতামূলক।

###

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!