** ১৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮ প্রতিষ্ঠানের মানিলন্ডারিং মামলা ও চার্জশীট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
** পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচারের অভিযোগ অধিকতর অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ
** মিথ্যা ঘোষণায় অর্থপাচারের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ ও শিপিং এজেন্টের যোজসাজশ খতিয়ে দেখার নির্দেশ
আমদানি-রপ্তানির আড়ালে শুল্ককর ফাঁকির পাশাপাশি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে কাস্টমস হাউস ও কাস্টমস গোয়েন্দা। অনুসন্ধান শেষে অর্থপাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা বা চার্জশীট অনুমোদনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও কাস্টমস গোয়েন্দা থেকে বেশ কিছু প্রতিবেদন ইতোমধ্যে এনবিআরে পাঠানো হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এর সভাপতিত্বে এনবিআরে একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কাস্টম হাউস ও কাস্টমস গোয়েন্দার এসব অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩টি প্রতিষ্ঠান আমদানি ও রপ্তানির আড়ালে প্রায় ৪১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাচার করেছে। পর্যালোচনা শেষে ৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—ফ্যাশন ক্রিয়েট অ্যাপারেলস লিমিটেড, ইলহাম, ইমু ট্রেডিং কোং, এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন, নিউ ইউর চয়েস ফেবিক্সস, সায়েম এন্টারপ্রাইজ, হপ-ইক (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও বাংলা ভিনা এন্টারপ্রাইজ। বাকি ৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অধিকতর যাচাই করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৩টি প্রতিষ্ঠান হলো—রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এমটি এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস (পাচার প্রায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা); আমদানিকারক ফ্যাশন ক্রিয়েট অ্যাপারেলস লিমিটেড (পাচার প্রায় ৮৪ লাখ টাকা); রপ্তানিকারক ইলহাম (প্রায় ১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা); ইমু ট্রেডিং কোং (প্রায় ৬৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা); এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন (প্রায় ৩২৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা); আমদানিকারক সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল (প্রায় ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা); নিউ ইউর চয়েস ফেব্রিক্স (প্রায় ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা); সায়েম ট্রেডিং (প্রায় ১৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা); সায়েম এন্টারপ্রাইজ (প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা); হপ-ইক (বাংলাদেশ) লিমিটেড (প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা); ফাতেমা ইন্টারন্যাশনাল (প্রায় ৫৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা); মোহাম্মদ ট্রেডিং (প্রায় এক কোটি ৪২ লাখ টাকা); বাংলা ভিনা এন্টারপ্রাইজ (প্রায় এক কোটি ২৮ লাখ টাকা)।
ফ্যাশন ক্রিয়েট অ্যাপারেলস লিমিটেড
বন্ডেড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানটির লিয়েন ব্যাংকের প্রত্যয়নপত্র নেই। কিন্তু এফওসি (ফ্রি অব কস্ট) সুবিধায় এলসি ছাড়াই ২০১৭ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মাধ্যমে আমদানির বিপরীতে ৮৪ লাখ ৬ হাজার ১০০ টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে পরিশোধ না করেই আমদানি মূল্য অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করেছে। ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দেওয়া ও অবৈধভাবে অর্থপাচারে জড়িত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহেদ সায়িদ, পরিচালক খালেদ সাঈদ, আজম সাঈদ, আবু জাফর সায়িদ। কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে পাচারের প্রমাণ পাওয়ায় চার্জশীট দিতে কাস্টমস গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমটি এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস
জাল রপ্তানির কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই রপ্তানি দেখিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা নগদ সহায়তা আত্মসাৎ করেছে এমটি এগ্রো ফুড প্রোডাক্ট। ব্যাংক ও অডিট ফার্মের যোগসাজশে এ অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। এমটি এগ্রোর লিয়েন ব্যাংক অডিটের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স হাউজের মাধ্যমে পাঠানো অর্থকে রপ্তানি হিসাবে দেখিয়ে প্রণোদনা নেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ অনুসন্ধানে বিষয়টি উঠে আসে। পরে অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য কাস্টমস গোয়েন্দাকে দায়িত্ব দেয়। কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া রপ্তানির বিপরীতে ১৪ দশমিক ৩১ লাখ ডলার (প্রায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা) রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকে জমা হয়েছে। মূলত অর্থপাচার ও প্রণোদনা আত্মসাৎ এর বিষয়টি প্রমাণিত হয়। পর্যালোচনা সভায় বলা হয়, ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে নগদ সহায়তা নেওয়ার পূর্বে নিরীক্ষা সম্পাদনকারী দুইটি নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
রপ্তানিকারক ইলহাম, ইমু ট্রেডিং কোম্পানি ও এশিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন
ইলহাম, ইমু ট্রেডিং কোম্পানি ও এশিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন-এই তিনটি প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিম্যাক্স শিপিং লিমিটেডের সহায়তায় রপ্তানি জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার করেছে। কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে জালিয়াতি ও অর্থপাচার প্রমাণিত হওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ও সিঅ্যান্ড এজেন্টের সত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইলহাম ৩৯টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮৮ ডলার (প্রায় ১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা) বিদেশে পাচার করেছে। একইভাবে ইমু ট্রেডিং কোম্পানি ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৭১টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৩ ডলার (প্রায় ৬৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা) এবং এশিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন ২০২২ সালে ১৩৮২টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৬৩ ডলার (প্রায় ৩২৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা) সমমূল্যের রপ্তানি জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার করেছে বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল
সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল মিথ্যা ঘোষণা ও ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আমদানি করেছে। যার অর্থ অবৈধ পন্থায় বিদেশে পাচার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সিঅ্যান্ডেএফ এজেন্ট সুপার সনিক ফ্রেইট সার্ভিসেস প্রা. লিমিটেডের সহায়তায় ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৯ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছে। অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা অনুমোদনে এনবিআরকে প্রতিবেদন দেয় কাস্টমস গোয়েন্দা। পর্যালোচনা সভায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে ঘোষণা বর্হিভূত পণ্যের মূল্য কিভাবে পরিশোধ করা হয়েছে, সেই পণ্য ফেরত পাঠানোর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা—এই বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে সম্পূরক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নিউ ইউর চয়েস ফ্রেবিক্স
প্রতিষ্ঠানটি মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে পণ্য আমদানি করেছে। যাতে ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৮ টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা করেছে। তবে পণ্যের মূল্য অন্য উপায়ে বিদেশে পাঠিয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের যোগসাজসে প্রতিষ্ঠান মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছে। কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় নিউ ইউর চয়েস ফ্রেবিক্স এর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সায়েম ট্রেডিং ও সায়েম এন্টারপ্রাইজ
সায়েম ট্রেডিং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সহায়তায় মিথ্যা ঘোষণা ও ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আমদানি করেছে। এতে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৪ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছে। কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তবে পর্যালোচনা সভায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে—পণ্য চালানের ঘোষিত ওজনের তুলনায় কায়িক পরীক্ষায় প্রাপ্ত ওজন প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। মানিলন্ডারিং সংঘটনের ক্ষেত্রে আমদানিকারক এর সাথে শিপিং এজেন্টের পারস্পরিক যোজসাজশ রয়েছে কিনা—সে বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান করে যোগসাজসের বিষয়টি যাচাই করে মানিলন্ডারিং মামলা দায়েরের সুপারিশ সম্বলিত অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়। অপরদিকে, আমদানিকারক সায়েম এন্টারপ্রাইজ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগসাজশে ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আমদানির মাধ্যমে ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৭ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছে। কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সত্তাধিকারীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা দায়ের অনুমোদন করা হয়। তবে প্রতিবেদনে শুল্ককর পরিশোধের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
ডিইপিজেডের প্রতিষ্ঠান হপ-ইক (বাংলাদেশ) লিমিটেড
চীন থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের উপকরণ (গার্মেন্টস এক্সসরিজ) ঘোষণায় বন্ড সুবিধায় আনা সিগারেটের একটি চালান আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা। সাভারের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) এর প্রতিষ্ঠান হপ-ইক (বাংলাদেশ) লিমিটেড। পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানটি হংকং এর হপ-লান (হংকং) লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট আমদানিতে সহযোগিতা করে শিপিং এজেন্ট টোটাল টান্সপোর্টেশান লিমিটেড ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন চান্দু করপোরেশন। এতে সিগারেটের মূল্য হিসেবে প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করেছে প্রতিষ্ঠান। কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, শিপিং এজেন্ট ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ পাওয়ায় কাস্টমস গোয়েন্দা তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। তবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসও একই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদনের জন্য এনবিআরে পাঠিয়েছে। পর্যালোচনা সভায় বলা হয়েছে—এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধান প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মানিলন্ডারিং আইনে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেজন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আর মামলা করার প্রয়োজন নেই।
ফাতেমা ইন্টারন্যাশনাল
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফাতেমা ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওএসএল ট্রেড প্রা. লিমিটেডের যোজসাজশে পণ্য আমদানির আড়ালে ঘোষণা বর্হিভূতভাবে ৭৩ হাজার ৯২৭ ডলার বা ৫৯ লাখ ১৪ হাজার ২১৬ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছে। কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে যার প্রমাণ পেয়েছে। তবে পর্যালোচনা সভায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে—আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সঙ্গে শিপিং এজেন্টের যোজসাজশ রয়েছে কিনা—তা অধিকতর অনুসন্ধান করে মানিলন্ডারিং মামলা দায়েরের সুপারিশ সম্বলিত অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, রপ্তানিকারক প্রিয়াঙ্কা ফ্যাশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা আরো অনুসন্ধান করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এনবিআরে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ ট্রেডিং ও বাংলা ভিনা এন্টারপ্রাইজ
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ট্রেডিং। প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির আড়ালে শুল্ককর ফাঁকির পাশাপাশি ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৭ টাকা বিদেশি পাচার করেছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা অনুমোদনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। পর্যালোচনা সভায় আমদানিকারকের সঙ্গে শিপিং এজেন্ট জড়িত রয়েছে কিনা—তা যাচাই করে পুনরায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলা ভিনা এন্টারপ্রাইজ মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির আড়ালে শুল্ককর ফাঁকির পাশাপাশি ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪২ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় পর্যালোচনা সভায় প্রতিষ্ঠান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।