২০১৭ সালে ইকোট্যুরিজম পার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সোনাদিয়া দ্বীপের সাড়ে ৯ হাজার একর বনভূমি অধিগ্রহণ করেছিল। আট বছর পর, সেই বনভূমি আবার বন বিভাগের হাতে ফিরছে। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার এ দ্বীপটিকে এবার রক্ষিত এলাকা হিসেবে সংরক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার ( ১৭ মার্চ ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হবে। এতে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেজার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ হাজার একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বেজার পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন ও মনিটরিং) শাহীন আক্তার কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হস্তান্তরের এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইকোপার্কের জন্য দেওয়া জমিতে গাছ কাটা, চিংড়ির ঘের নির্মাণসহ পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রমে দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সেখানে পরিবেশ–প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সোনাদিয়া দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে দখলমুক্ত করা; খালের মুখ ও শাখা-প্রশাখার বাঁধ অপসারণ করে জোয়ারের পানি প্রবেশ সুগম করা; বালিয়াড়ি পুনরুদ্ধার ও বিচ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া এবং ম্যানগ্রোভ ও নন-ম্যানগ্রোভ, কাউ, কেয়া, নিশিন্দা, নারকেল, তালগাছের চারা রোপণ করা হবে।