বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তি এই আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২৫ মে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন: সাবেক দুদক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসান মনজুর।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ১৭ মার্চ একটি পত্রিকায় “খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ভুয়া মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ‘দুদকের সাবেক সচিব মোখলেস’ কীভাবে এখনো জনপ্রশাসন সচিব?—এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইদিন প্রতিবেদনটি বাদীর দৃষ্টিগোচর হয়। আবেদনে অভিযোগ করা হয়, এই ঘটনায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ পুরো জিয়া পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু ও মেয়ে এস আমরীন রাখীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ মোট ১৭ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
দুদকের পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তার পরিবারের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা দেশত্যাগ করলে ২৬০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত ও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
একইভাবে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে দুদকের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান আদালতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে। বিচারিক প্রক্রিয়া এড়াতে তিনি যে কোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক রানা আব্দুল্লাহ আল আবসারসহ ১৬ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার। আবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে ৪৭৮ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে এবং তারা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন।