সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি, বৃষ্টি বাড়ার শঙ্কা

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে বৃষ্টি হচ্ছে এবং লঘুচাপের প্রভাবে তা আরও বাড়তে পারে। তবে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমে আসবে। এদিকে আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় দেশের তিনটি বিভাগে একদিনের ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। অতিবৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটারকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটারকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হিসেবে ধরা হয়। ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে অতিভারি বৃষ্টিপাত বলা হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ এলাকায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১১৫ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ৪২, সিলেটে ৪১, ভোলায় ৩৫, বরিশালে ৩৩, খুলনার কয়রায় ২৭ এবং বান্দরবানে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায়ও কমবেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!