সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, অচিরেই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। গত ১৬ বছরে কেউ সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেয়নি। কীভাবে এটা জমা দিতে হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। এ জন্য সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হবে।’
এর আগে প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হিসাব বিবরণী দেওয়ার কথা থাকলেও এ বছর তা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছিলেন, দেশের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে। তবে এ বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত ছকে (ফরম) নিজ নিজ মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হবে। এটি সব কর্মচারীর জন্যই বাধ্যতামূলক। সারা দেশে ১৫ লাখের মতো সরকারি কর্মচারী আছেন।
দুর্নীতির লাগাম টানতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯, যা ২০০২–এ সংশোধনী এনে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী পাঁচ বছর পরপর দেওয়ার বিধান করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারি কর্মচারীদেরকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অপরদিকে, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আরও এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা। রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন নির্ধারিত ছিল ৩০ নভেম্বর। ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বাড়ানো হয়।