সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (জিপিএফ) ও (সিপিএফ) তহবিলে জমার বিপরীতে মুনাফার হার আগের অর্থবছরের মতোই ১১-১৩% নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মুনাফা মিলবে ১৩%। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২% এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি টাকা জমা রাখার বিপরীতে ১১% মুনাফা মিলবে।
২০২১ সালে জিপিএফ-সিপিএফের সুদহার ১৩–১৪% থেকে কমিয়ে ১১–১৩% করা হয়, যা ২০২৩–২৪ অর্থবছরেও বহাল ছিল। নতুন প্রজ্ঞাপনেও একই হার রাখা হয়েছে, যা সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ ১২.৫৫% সুদের চেয়েও বেশি।
একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০% পর্যন্ত জিপিএফে রাখতে পারলেও, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তা কমিয়ে ২৫% করা হয়। রাজস্ব খাতভুক্তরা জিপিএফে, আর রাজস্ব খাতের বাইরেররা সিপিএফে টাকা রাখেন।
একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০% পর্যন্ত জিপিএফে জমা রাখতে পারতেন। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অর্থ বিভাগ সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে জমার সীমা সর্বোচ্চ ২৫% নির্ধারণ করে। রাজস্ব খাতভুক্ত কর্মচারীরা জিপিএফে এবং রাজস্ব খাতের বাইরে থাকা কর্মচারীরা সিপিএফে টাকা জমা রাখেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিপিএফভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনগুলোর আর্থিক সক্ষমতা একরকম নয়। তাই তারা জিপিএফের নির্ধারিত সর্বোচ্চ স্লাবভিত্তিক মুনাফাকে মানদণ্ড ধরে নিজেদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী কর্মচারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করতে পারবে।