সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার পরিবর্তে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে বেতন গ্রেড অনুযায়ী গ্রেড–১ থেকে গ্রেড–৯ পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং গ্রেড–১০ থেকে গ্রেড–২০ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে এই বিশেষ সুবিধা কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, চাকরিরত কর্মচারীরা ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীরা ন্যূনতম ৫০০ টাকা এই সুবিধা হিসেবে পাবেন।
জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় থাকা সরকারি-বেসামরিক, স্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনভোগীদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা কার্যকর হবে।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন না হওয়ায় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবার সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রয়েছে। এ নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে এবং ভাতা দেওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট, তবে কিছুটা সময় লাগবে। শেষ পর্যন্ত ‘মহার্ঘ ভাতা’ নাম না দিয়ে ‘বিশেষ সুবিধা’ নামে এই অতিরিক্ত ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা তাদের পিআরএলে যাওয়ার আগের সর্বশেষ মূল বেতনের ওপর নির্ধারিত গ্রেড অনুসারে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন। পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনভোগীরাও সরকার থেকে পাওয়া বর্তমান পেনশনের ভিত্তিতে এই সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। তবে যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী তাদের সম্পূর্ণ পেনশন এককালীন আনুতোষিক হিসেবে তুলে নিয়েছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের উপযুক্ত নন, তারা এ সুবিধার আওতায় পড়বেন না। একইভাবে, যেসব কর্মচারী বিনা বেতনে ছুটিতে রয়েছেন, তারাও এই বিশেষ সুবিধা পাবেন না।