সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

বাসা বরাদ্দে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন। তারা হলেন—সহকারী পরিচালক বিলাল হোসাইন, উপপরিচালক রাশেদ আহাম্মেদ সাদী এবং সহকারী হিসাবরক্ষক মো. নজরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবং সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনা না করে বাসা বরাদ্দে সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দে আবেদনকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ দাবি এবং গত ৭ সেপ্টেম্বর বাসা বরাদ্দ সংক্রান্ত সভায় দায়িত্ব পালনে অনিয়ম। এসব অভিযোগ তদন্তাধীন এবং তা স্পর্শকাতর হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি চাকরিতে বহাল থাকলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আরও জড়াতে পারেন এবং তদন্ত কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। এমতাবস্থায় বিলাল হোসাইনকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২ (১) অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু রাশেদ আহাম্মেদ সাদীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির বাসা বরাদ্দ প্রদান করে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও স্থাবর সম্পত্তির মালিক হওয়া, গ্রেড ও বেসিক বিবেচনায় না নিয়ে বাসা বরাদ্দে সুপারিশ প্রদান করা, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রত্যেক আবেদনকারীর নিকট হতে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করাসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তনাধীন এবং তা স্পর্শকাতর; তিনি চাকরিতে বহাল থাকলে আরো বেশি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারেন এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তকার্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

তাই, রাশেদ আহাম্মেদ সাদীকে (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২ (১) অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের আদেশে বলা হয়েছে, সহকারী হিসাবরক্ষক মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাসা বরাদ্দের আবেদনকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করাসহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তাধীন ও স্পর্শকাতর হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি চাকরিতে বহাল থাকলে আরও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারেন। এ কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি-১২(১) অনুযায়ী মো. নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী তিনি খোরপোশ ভাতা পাবেন। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!