** আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর ফলে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে-তাজা ও ফ্রোজেন মাংস, সালমন, টুনা মাছ, মাছের বিভিন্ন অঙ্গ, মাছের টুকরা বা গুঁড়া, পাস্তা, বিভিন্ন শস্য, মিনারেল ওয়াটার, বিয়ার ও অন্যান্য পানীয়, কয়েক ধরনের এসিড, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্য, প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল, বোতলের ক্যাপ, ঢাকনা, প্লাস্টিকের দরজা, জানালা, বিভিন্ন ধরনের সিগারেট পেপার, বিভিন্ন ধরনের কাপড়, টিস্যু পেপার, টয়লেট পেপার, ন্যাপকিন, মোজা, মাপলার, বোরকার কাপড়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র, সিরামিকের বিভিন্ন পণ্য ইত্যাদি
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন আমদানি করা পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) টেলিভিশন সম্প্রচারের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থবিল, ২০২৫-এ এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক কমানোর ফলে আমদানি করা এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
অর্থ আইন, ২০২৫ অনুযায়ী যেসব আমদানি করা পণ্য বা কাঁচামালে সম্পূরক শুল্ক কমছে
খাবার উপযোগী পশুর তাজা ও জমাট বাধা মাংস (গরু, ভেড়া, ছাগল) আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া গরু, ভেড়া, ছাগল, গাধা, খচ্চর, পালিত পশুর বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ আমদানিতে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। বিভিন্ন জাতের সালমন, টুনা, মাছ ও মাছের বিভিন্ন অঙ্গ আমদানিতে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। মানুষের খাওয়ার উপযোগী মাছের টুকরা বা গুঁড়া (আড়াই কেজি পর্যন্ত মোড়ক বা টিনজাত) শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পাস্তা, বিভিন্ন শস্য শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। মিনারেল ওয়াটার, নন-অ্যালকোহলিক বিয়ার ও অন্যান্য পানীয় সম্পূর শুল্ক ১৫০ থেকে কমিয়ে ১০০ শতাংশ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ডাইঅক্টাইল অর্থোথেলেটসসহ কয়েকটি এসিড আমদানিতে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। প্লাস্টিকের তৈরি বাক্স, কেইস, ক্রেট এবং সমজাতীয় পণ্য; বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের নাস্তার ব্যাগ; কার্বয়, বোতল, ফ্লাস্ক ও সমজাতীয় পণ্য; সুতা বা তারের রিল, ঢাকনা; কর্ক, ঢাকনা, ক্যাপ; প্লাস্টিক প্যালেটস; প্লাস্টিকের টেবিলওয়্যার বা কিচেনওয়্যার, ফিডিং বোতল; প্লাস্টিকের তৈরি দরজা, জানালা ও ফ্রেম ইত্যাদির সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সিগারেট পেপারের সম্পূরক শুল্ক ১০০ ও ১৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ শতাংশ করা হয়েছে। ওভেন ফেব্রিক্সের (সিল্ক) সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। টয়লেট পেপার, টিস্যু পেপার, টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপারের শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ওভেন ফেব্রিক্স, টেক্সাটাইল ফেব্রিক্সের শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ছেলে ও মেয়েদের পোশাক তৈরির বিভিন্ন কাপড়ের শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। জার্সি, পুলওভার বা সোয়েটার কাপড়; মোজা তৈরির কাপড়; ছেলেমেয়েদের জ্যাকেট, ব্লেজার তৈরির বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের শুল্ক ৪৫ থেকে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। অর্ন্তবাস, শাল, স্কার্ফ, মাফলার, বোরকা, মান্টিলার কাপড়; বিভিন্ন প্লাস্টিকের জুতা ইত্যাদির শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। জুতা তৈরি উপকরণ, সিরামিক, ইট, ব্লক; সিরামিক পাইপ ইত্যাদির শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র, ইনডোর ও আউটডোর ইউনিটের শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। মোটরগাড়ি (ক্যাপাসিটি ১৫) এর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।