সদস্য সাতজন চলতি দায়িত্বে, গ্রেড-১ তিনটি পদ শূন্য

কাস্টমস-ভ্যাট বিভাগ

** কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সদস্যের তিনটি পদ গ্রেড-১, যার তিনটি বর্তমানে খালি
** সদস্যদের আটটি পদের মধ্যে একটি পদ কয়েকমাস ধরে শূন্য রয়েছে
** আপিল ট্রাইব্যুনালের পদটি গ্রেড-১, কিন্তু গ্রেড-৩ এর একজন কমিশনার কর্মরত রয়েছেন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সদস্য সংখ্যা আট। বর্তমানে একটি পদ শূন্য রয়েছে, বাকি সাতটি পদে সদস্য কর্মরত রয়েছেন। যার মধ্যে সাতজনই চলতি দায়িত্ব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চলতি দায়িত্ব মানে সাতজন সদস্য হিসেবে কর্মরত থাকলেও মূল পদবি কমিশনার। গ্রেড-৩ হিসেবে তারা সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। আবার কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের গ্রেড-১ এর তিনটি পদ রয়েছে, যার তিনটি পদই শূন্য। বিশেষ করে আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদটি গ্রেড-১ হলেও সেখানে গ্রেড-৩ এর একজন কমিশনার কর্মরত রয়েছেন।

এনবিআর সূত্রমতে, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে আটটি সদস্য পদ রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি পদ গ্রেড-১, বাকি পাঁচটি গ্রেড-২। আবার গ্রেড-১ তিনটি পদের মধ্যে কাস্টমস, এক্সাইজ এবং মূল্য সংযোজন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল
প্রেসিডেন্ট পদটি গ্রেড-১। বাকি দুইটি গ্রেড-১ পদ এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাটের সদস্যদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ দুইজন সদস্য পদোন্নতির মাধ্যমে পেয়ে থাকেন। কিন্তু আপিল ট্রাইব্যুনালে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাইব্যুনালের সদস্য (টেকনিক্যাল) ও কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম। তিনি গ্রেড-৩ পদ মর্যাদার কর্মকর্তা।

আবার কর্মরত সাতজন সদস্য এনবিআরে কর্মরত রয়েছেন। বাকি একটি পদ গত কয়েকমাস ধরে শূন্য রয়েছে। আবার কর্মরত সাতজন সদস্যই চলতি দায়িত্ব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সাতজন সদস্যের কেউ দুই বছরের বেশি সময় ধরে, কেউ এক বছরের বেশি সময় ধরে, আবার কেউ ৪-৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাতজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও গ্রেড-৩ অর্থাৎ কমিশনার হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মো. মাসুদ সাদিক (গ্রেড-১) অবসরের যাওয়ার পর পদটি খালি রয়েছে। তবে গ্রেড-২ বা সদস্য পদ স্থায়ী না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট দুইজন সদস্য গ্রেড-১ হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। দুইজন হলেন-ড. মইনুল খান ও ড. মো. সহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে ড. মো. সহিদুল ইসলাম অবসরে গেছেন। কিন্তু ড. মইনুল খান ১৮ আগস্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় চেয়ারম্যান (সচিব) হিসেবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে প্রেষণে নিয়োগ পেয়েছেন। ফলে এনবিআরের এই দুইটি গ্রেড-১ এর পদ খালি হয়ে যায়।

বর্তমানে কর্মরত সাতজন সদস্য (চলতি দায়িত্ব) হলেন-হোসেন আহমেদ (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি), ফারজানা আফরোজ (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন), কাজী মোস্তাফিজুর রহমান (কাস্টমস: নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক চুক্তি), মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি), মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (কাস্টমস: রপ্তানি, বন্ড ও আইটি), মো. আজিজুর রহমান (মূসক নিরীক্ষা), ড. মো. আবদুর রউফ (মূসক নীতি)।

অপরদিকে, এনবিআরের আয়কর বিভাগের দুইটি সদস্য পদের মধ্যে একটি চার মাস ও আরেকটি দুই মাস ধরে খালি রয়েছে। আগামী ২ মার্চ থেকে আরো একটি সদস্য পদ খালি হবে। এরমধ্যে সদস্য (কর জরীপ ও পরিদর্শন) এম এম ফজলুল হক গত ২০ ডিসেম্বর অবসরে গেছেন। ওই দিন থেকে এ পদটি খালি রয়েছে। সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) পদটিও খালি রয়েছে। এ দপ্তরে ৭ নভেম্বর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ। আর আগামী ২ মার্চ সদস্য (আন্তর্জাতিক কর) জাহাঙ্গীর আলম অবসরে যাবেন। ওই দিনের পর এ পদটিও খালি হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!