সচিব নিয়োগে ‘মতামত’ উপেক্ষিত, নাখোশ কর্মকর্তারা

রাজস্ব নীত ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই ভাগ হয়ে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ হচ্ছে। অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। তবে রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, দুইটি বিভাগ করার বিষয়ে কর্মকর্তারা যে মতামত দিয়েছেন-তা খসড়ায় প্রতিফলিত হয়নি। বিশেষ করে রাজস্ব নীতি বিভাগে সচিব পদে নিয়োগ। তাদের দাবি, আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস-এই দুইটি অ্যাসোসিয়েশন রাজস্ব নীতি বিভাগে সচিব পদে নিয়োগে মতামত দিয়েছেন যে, ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্য হতে’ রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব নিয়োগ হবে। কিন্তু খসড়ায় সেই মতামত প্রতিফলিত হয়নি। এতে মাঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। রাজস্ব বিভাগে অভিজ্ঞদের মধ্য হতে চেয়ারম্যান (সচিব পদমর্যাদা) নিয়োগ না করে বাইরে থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হলে যে উদ্দেশ্যে এনবিআর দুই ভাগ হচ্ছে, তা ব্যহত হবে। অধ্যাদেশ জারির আগেই তা সংশোধন করার দাবি জানানো হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কাজী মোস্তাফিজুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল একেএম নুরুল হুদা আজাদ সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ এপ্রিল শনিবার এনবিআরের মাল্টিপারপাস হলে বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের এক বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অ্যাসোসিয়েশনের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে সভায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাকাএভ) নির্বাহী কমিটির প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। সভায় কর-জিডিপি উন্নয়নে রাজস্ব প্রশাসন সংস্কারের ভূমিকা ও করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত গত ১৭ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আরো বলা হয়, সভার শুরুতে এনবিআর আহরিত রাজস্বের প্রায় ৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ যোগানে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠা এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ, জাতীয় নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও বাণিজ্য সহজীকরণে তাদের অবদানের কথা স্মরণ করা হয়। সভায় কর-জিডিপির অনুপাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে অতিমূল্যায়িত জিডিপি, রাজস্ব প্রশাসনের শীর্ষ পদের রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাব এবং কর-রাজস্ব আহরণে এ অঞ্চলের মধ্যে সর্বনিম্ন বিনিয়োগকে অন্যতম অন্তরায় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। রাজস্ব আহরণে বিনিয়োগের সাথে কর-জিডিপি অনুপাতের সরাসরি সম্পর্কের কথা উল্লেখপূর্বক এর উন্নয়নে সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক দৃষ্টি কামনা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব কর্তৃপক্ষ হিসাবে ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ১৬৬ কোটি টাকা আহরণ থেকে শুরু করে বার্ষিক গড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই বাস্তবতায় রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব বাস্তবায়ন পৃথককরণে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের ভিশন ও পরিকল্পনাকে বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন ধারণ করে ও স্বাগত জানায়। তবে অ্যাসোসিয়েশন মনে করে রাজস্ব সংস্কার কেবল পৃথককরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা সমীচীন নয়। বরং তা টেকসই করতে রাজস্ব ব্যবস্থার সামগ্রিক শক্তিশালীকরণ, যথাযথ বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিষয়টিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এরই মধ্যে সরকার পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি গঠন করে। বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং কমিটির আহ্বানে দুই সংগঠন যৌথভাবে তাদের মতামত প্রদান করে। অর্থ উপদেষ্টার আহ্বানে অধ্যাদেশের খসড়া বিষয়ে দুইবার দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি ১৩ এপ্রিল দুই সংগঠন সেই মতামত পুনর্ব্যক্ত করে যৌথভাবে অর্থ উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।

ক্ষোভ জানিয়ে বলা হয়, তবে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে গত ১৭ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর যে খসড়া পাওয়া গেছে সেটি পর্যালোচনা করে দুই সংগঠনের মতামত প্রতিফলিত হয়নি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এরই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সাতটি পর্যবেক্ষণ ও মতামত দেওয়া হয়েছে।

প্রথমত, বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্য হতে’ রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব নিয়োগের মতামত প্রদান করেছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত খসড়ার অনুচ্ছেদ ৪(৩) এ ‘উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোন সরকারি কর্মকর্তাকে’ রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিব নিযুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। এতে রাজস্ব নীতি প্রণয়নে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যক্ষভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি মর্মে প্রতীয়মান। উল্লেখ্য, রাজস্ব নীতি বিভাগ গঠনের মূল লক্ষ্য হলো-নীতি ও ব্যবস্থাপনা পৃথককরণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও বিশেষায়িত বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে যুগোপযোগী, আধুনিক ও ব্যবসাবান্ধব রাজস্ব নীতি প্রণয়ন। রাজস্ব নীতি প্রণয়নে কর রাজস্ব আহরণের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের মধ্য হতে রাজস্ব নীতি বিভাগের শীর্ষ পদে পদায়ন করা হলে রাজস্ব বিভাগকে পৃথক করার মূল উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

দ্বিতীয়ত, রাজস্ব নীতি বিভাগের মৌলিক পদসমূহ বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) এবং বিসিএস (কর) ক্যাডার হতে পূরণের প্রস্তাব করা হলেও খসড়ার অনুচ্ছেদ ৪(৪)-এ আয়কর, কাস্টমস, ভ্যাট, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, গবেষণা, পরিসংখ্যান, প্রশাসন, অডিট, আইন সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা হতে পূরণের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন মৌলিক পদসমূহে বর্তমানে দায়িত্বপালনরত রাজস্ব আহরণ, ব্যবস্থাপনা ও নীতি প্রণয়নে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদেরকে রাজস্ব নীতি বিভাগে সুনির্দিষ্টভাবে পদায়নের সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে নীতিনির্ধারণী ও দায়িত্বশীল পর্যায়ে এই দুই ক্যাডারভুক্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ প্রতিপাদ্য না হওয়ায় মাঠ অভিজ্ঞতা ও নীতির মধ্যে মারাত্মক ব্যবধান রয়ে যাবে; যা রাজস্ব সংস্কারের মূল লক্ষ্যকে ব্যাহত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর-রাজস্ব আহরণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা দীর্ঘমেয়াদে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), আয়কর, কাস্টমস মূল্যায়ন, পণ্য শ্রেণিবিন্যাস, আমদানি-রপ্তানি প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাজ করে দক্ষতা অর্জন করেন। এই দক্ষতা রাজস্ব ব্যবস্থাপনাসহ নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এছাড়া দীর্ঘদিন মেধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেও নীতিনির্ধারণী পদে কাজের সুনির্দিষ্টভাবে সুযোগ না থাকলে হতাশাজনিত কারণে কর্মস্পৃহা হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পক্ষান্তরে উপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করা হলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও প্রেরণার উন্নয়ন ঘটবে; যা সামগ্রিকভাবে রাজস্ব প্রশাসনকে বেগবান করবে।

তৃতীয়ত, খসড়ার অনুচ্ছেদ ৯-এ রাজস্ব নীতি বিভাগে জনবল পদায়নের জন্য সুপারিশের লক্ষ্যে একটি কমিটির কথা উল্লেখ থাকলেও ধারা ৪(৪)-এ এমন কোনো কমিটির উল্লেখ নেই। এই কমিটির গঠন উল্লেখ করা প্রয়োজন। চতুর্থত, খসড়ার অনুচ্ছেদ ৫ এর দফা (চ)-এ রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে ‘কর আইন প্রয়োগ ও কর আহরণ পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ’ যুক্ত করা হয়েছে। কর আইন প্রয়োগ ও কর আহরণ পরিবীক্ষণের বিধান রাখায় নীতি বিভাগকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের কার্যক্রম তদারকির সুযোগ থেকে যায়। এক বিভাগের কার্যক্রম সমমর্যাদাসম্পন্ন অপর বিভাগ কর্তৃক পরিবীক্ষণের বিধান রাখা হলে তা আইনের দৃষ্টিতেও সাংঘর্ষিক বিবেচিত হয়। পঞ্চমত, খসড়ার অনুচ্ছেদ ৭(৩)-এ ‘বিসিএস (কর) ও বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের হতে রাজস্ব আহরণে ন্যূনতম ২০ বছরের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সচিব বা সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান’-এর পরিবর্তে ‘রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন সরকারি কর্মকর্তাকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান’-এর বিধান যুক্ত করা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে কর-রাজস্ব আহরণের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নয়-এমন কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার সৃষ্টি হতে পারে; যা কর-রাজস্ব আহরণে দীর্ঘদিনের অর্জিত বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ সীমিত করবে।

ষষ্ঠত, খসড়ার অনুচ্ছেদ ৭(৫)-এ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদসমূহে প্রশাসন ক্যাডার হতে পদায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে এনবিআরের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা পদস্থ রয়েছেন; যা তাদের নির্ধারিত পদ। কিন্তু খসড়ায় প্রশাসনিক পদসমূহে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের হতে পূরণের সুযোগ রাখা হয়নি। বিশেষায়িত দক্ষ জনবল সৃষ্টি, বিদ্যমান জনবলের ব্যবস্থাপনা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্যারিয়ার প্লানিং ও পেশাগত স্বার্থরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রশাসনিক পদসমূহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারভুক্ত জনবল হতে পূরণ করা বাঞ্ছনীয় বলে বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন মনে করে। সপ্তমত, এছাড়া সরকার গঠিত রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন অন্যান্য সংস্কার কমিশনের মতো জনসমক্ষে প্রকাশ করা সমীচীন বলে এই অ্যাসোসিয়েশন মনে করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বায়নের এই যুগে বিশেষীকরণের গুরুত্ব বিবেচনায় কর-রাজস্ব আহরণ ও ব্যবস্থাপনায় এবং রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) এবং বিসিএস (কর) ক্যাডারের সদস্যদের মধ্য হতে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের শীর্ষ পদসহ অন্যান্য সকল অনুবিভাগের নীতি-নির্ধারণী ও দায়িত্বশীল পদসমূহ পূরণের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বিভাগ দুটিকে কার্যকর, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব, গতিশীল এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে জনমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপদান করা সময়ের দাবি বলে বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন মনে করে। বিশেষ কোনো মহলের প্ররোচনায় অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের জন আকাঙ্ক্ষা বিরোধী এবং সংস্কারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী কোনো উদ্যোগ কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক হতে পারে বিধায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এনবিআর পৃথক সংক্রান্ত আরো নিউজ পড়ুন-
** এনবিআর পৃথক করার খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন
** বিলুপ্ত হচ্ছে এনবিআর, কমবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ
** এনবিআর ভেঙ্গে অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে দুই বিভাগ হচ্ছে
** প্রশাসন ও নীতি উইং পৃথক করার সুপারিশ
** নীতির স্বাধীনতা নাকি প্রশাসনিক বিভাজন
** স্বতন্ত্র বিভাগ গঠনে রাজস্ব আহরণ বাড়বে?
** রাজস্ব কমিশন নয়, বিভাগ হবে
** আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস থেকে হবে ‘চেয়ারম্যান’
** এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের ‘পরামর্শক’ কমিটি
** এনবিআর দুই ভাগ হচ্ছে, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!