সংস্কার চায় কর আইনজীবীরা, বিলুপ্তি নয়

বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএলএ) এবং ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) দাবি করেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিলুপ্ত করার কোনো প্রয়োজন নেই; বরং এটি সংস্কারের মাধ্যমে আরও কার্যকর করা উচিত। বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটি এ মত প্রকাশ করে।

প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশে এনবিআর বিলুপ্তির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তারা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তি নয়, বরং এটি যুগোপযোগী সংস্কারের মাধ্যমে আরও কার্যকর করা প্রয়োজন। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে আসছে এবং রাজস্ব আহরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে মাত্র ১৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ দিয়ে যাত্রা শুরু করা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আয় বাড়িয়ে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এ সময়ে সংস্থাটি বার্ষিক গড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে সাম্প্রতিক একটি খসড়া অধ্যাদেশে এনবিআর বিলুপ্তির প্রস্তাব আনা হয়েছে। ওই খসড়ার ধারা ১৩ এর উপধারা (১) অনুযায়ী, এটি কার্যকর হলে ১৯৭২ সালের ‘প্রেসিডেন্ট’স অর্ডার নম্বর ৭৬’ বাতিল হয়ে যাবে এবং এনবিআর বিলুপ্ত হবে।

এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে কর আইনজীবীরা বলেন, দেশের রাজস্ব ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান অংশীজন হিসেবে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা মতামত গ্রহণ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা অগণতান্ত্রিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে।

আইজীবীরা আরও বলেন, ‘জাতি জানতে চায়, কোন স্বার্থে এই খসড়া অধ্যাদেশটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কোনো ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান নয় বরং এটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। এনবিআরকে বিলুপ্ত না করে বরং আয়কর নীতি বিভাগকে শক্তিশালীকরণ, টেকসই রাজস্বনীতি প্রণয়ন, আইনি সংস্কার, আধুনিকায়ন ও অটোমেশনসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করাই সময়ের দাবি।’ অবিলম্বে এই বিতর্কিত অধ্যাদেশ বাতিল করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা দাবি জানিয়েছেন কর তারা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!