শেয়ারদর কারসাজি ও সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত জানুয়ারিতে আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানকে মোট ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
শেয়ারদর কারসাজি ও সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত জানুয়ারিতে আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ও তার প্রতিষ্ঠান, পাশাপাশি পুঁজিবাজারের আলোচিত বিনিয়োগকারী ও সরকারি কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীরা। বিএসইসি জরিমানার অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্যানুসারে, ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন তদন্ত করে। এ সময়ে শেয়ারটির দর ৬৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে প্রায় ৬৯ শতাংশ বেড়ে ১১৫ টাকা ২০ পয়সায় পৌঁছে। তদন্তে দেখা যায়, নাবিল ফিড মিলস লিমিটেড, নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড ও প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে দর বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে মো. আমিনুল ইসলামকে ৩ কোটি ২০ লাখ, নাবিল ফিড মিলস লিমিটেড ও নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
২০২১ সালের ৭ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন তদন্ত করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এ সময়ে শেয়ারটির দর ২৩.৮০ টাকা থেকে প্রায় ৬১% বেড়ে ৩৮.৩০ টাকায় পৌঁছায়। তদন্তে দেখা যায়, সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীরা শেয়ার লেনদেনে ভূমিকা রেখে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য বিএসইসি হিরু ও তার পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোট ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এর আগে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯১ কোটি টাকা এবং নভেম্বরে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪৩১ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল বিএসইসি।
**পুঁজিবাজার তদন্তে ৬ প্রতিবেদন জমা বিএসইসির
**বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী গ্রেপ্তার
**৬১৯ কোটি টাকা জরিমানা,আদায় হয়নি ১ টাকাও