শুল্ক জটিলতা নিরসন, হিলিতে চাল খালাসে বাঁধা কাটল

অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সার্ভারে চাল আমদানি সংক্রান্ত শুল্ক জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। যার ফলে হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা চাল খালাসে বাঁধা কেটে গেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বিজনেস বার্তাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অ্যাসাইকুডাতে শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতা সোমবার রাতে নিরসন করা হয়েছে।

এর আগে অ্যাসাইকুডা সার্ভারে শুল্ক জটিলতায় হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা প্রায় ৩ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল বন্দরে আটকা পড়ে। গত চার দিনে ৮৮ ট্রাকে ভারত থেকে এই চাল আমদানি করা হয়। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল জানিয়েছিলেন, সরকার চাল আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করে আগের মতো ২ শতাংশ আয়কর ঘোষণা দিলেও কাস্টমসের সার্ভারে এখনও চালের আমদানি শুল্ক ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ দেখাচ্ছে।

এই শুল্ক পরিশোধ করে চাল ছাড় করলে কেজিপ্রতি প্রায় ৪০ টাকা ডিউটি দিতে হবে, ফলে আমদানি মূল্য দাঁড়াবে ৯৫ টাকার বেশি। এতে চাল খালাস করলে আমদানিকারকদের বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। এ অবস্থায় অবিলম্বে সমস্যার সমাধান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাজমুল। তিনি জানান, প্রতিদিন এভাবে আমদানিকারকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অন্যান্য স্থলবন্দরেও একই ধরনের জটিলতা চলছে বলে জানা গেছে।

দেশের ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সারাদেশের ২৪২ জন আমদানিকারককে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর পর গত মঙ্গলবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলেও চার দিন পার হলেও ব্যবসায়ীরা এখনো খালাস করেননি। এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস বিরতির পর গত ১২ আগস্ট থেকে পুনরায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের সিদ্ধান্ত অনুসারে চাল আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ছাড়া অন্য কোনো শুল্ক বা কর প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে চালের দাম ১৬ শতাংশ বেড়ে যায়। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ১৩ লাখ টন চাল আমদানি করতে হয়। দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার এবার শুল্কমুক্ত চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হালদার ভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেশব কুমার হালদার বলেন, বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ ভালো থাকা এবং ভারতে সরকারি ও বেসরকারি মজুত পর্যাপ্ত থাকায় বৈশ্বিক দাম কিছুটা কমে গেছে। বাংলাদেশের আমদানি আদেশ ভারতীয় বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করে বৈশ্বিক চালের দামের পতনকে আংশিকভাবে সামলাতে সাহায্য করবে।

** শুল্ক জটিলতায় হিলিতে আটকা ৩৫২০ টন চাল

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!