** বর্তমানে একজন প্রবাসী দেশে ফেরার সময় নিজের দুইটি ব্যবহৃত মোবাইলের সঙ্গে একটি নতুন মোবাইল ফোন আনতে পারেন, সেক্ষেত্রে শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়
** এখন থেকে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল সেট তো আনতে পারবেন-ই, সঙ্গে বছরে একবার নতুন একটি মোবাইল সেটও শুল্ককর ছাড়াই আনতে পারবেন
** একজন যাত্রী তার সঙ্গে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে তা নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে
** বর্তমানে নির্দিষ্ট পরিমাণ শুল্ককর পরিশোধের মাধ্যমে একজন যাত্রী বছরে যতবার ইচ্ছে ততবার ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনতে পারেন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী একজন যাত্রী বছরে সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি স্বর্ণের বার বা স্বর্ণ পিণ্ড একবার আনতে পারবেন
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বছরে একবার একটি নতুন মোবাইল ফোন সেট কোনো ধরনের শুল্ককর ছাড়াই আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫ সংশোধনের মাধ্যমে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ৩ জুন এই সংক্রান্ত নতুন বিধিমালা জারি করা হয়েছে।
বর্তমানে একজন প্রবাসী দেশে ফেরার সময় নিজের দুইটি ব্যবহৃত মোবাইলের সঙ্গে একটি নতুন মোবাইল ফোন আনতে পারেন, সেক্ষেত্রে শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়। তবে এখন তার ব্যবহৃত হিসেবে দুটি মোবাইল সেট তো আনতে পারবেন-ই। সঙ্গে নতুন একটি সেটও বছরে একবার শুল্ককর ছাড়াই আনতে পারবেন। প্রজ্ঞাপন জারির ৩০ দিন পর এটি কার্যকর হবে বলা হয়েছে।
সূত্রমতে, বর্তমানে নতুন মোবাইল আনার ক্ষেত্রে দাম অনুযায়ী এর শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়। এবার বছরে একবার একটি নতুন মোবাইল আনার ক্ষেত্রে এই শুল্ককর উঠে গেল। এখন কেউ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের নতুন একটি মোবাইল সেটের আনলে ৫ হাজার টাকা শুল্ককর দিতে হয়। ৩০ হাজারের বেশি কিন্তু ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হলে দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। দাম ৬০ হাজার টাকার বেশি হলে ২৫ হাজার টাকা শুল্ককর দিতে হয়। এছাড়া ঘোষণা দেওয়া ছাড়া আনা মোবাইল ফোন ধরা পড়লে কাস্টমস কর্মকর্তারা তা বাজেয়াপ্ত করতে পারেন।
নতুন বিধিমালায় আরো যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে
একজন যাত্রী তার সঙ্গে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে-তা নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতদিন ৫ হাজার ডলারের বেশি বহন করলেই ঘোষণা দিতে হত। ‘সেকেলে ও অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায়’ কয়েকটি পণ্যের আমদানির সুযোগ বাতিলও করা হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে আছে- ক্যাসেট প্লেয়ার, ডিস্কম্যান, টাইপরাইটার, ওয়াকম্যান, ফ্যাক্স মেশিন, ১৯ ইঞ্চি এলসিডি মনিটর, পুশবাটন ফোন। ব্যাগেজ বিধির আওতায় সুবিধা কমিয়ে বর্তমানে স্থলবন্দর দিয়ে বছরে তিনবার সর্বোচ্চ ৪০০ ডলার পর্যন্ত শুল্কমুক্ত পণ্য আনার যে সুযোগ ছিল-তা কমিয়ে একবার করা হয়েছে। যাত্রীর সঙ্গে না থাকা লাগেজ ব্যবস্থার আওতায় ১২ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ১০০ কেজি এবং ১২ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ৪০ কেজি পর্যন্ত পণ্য আনার সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে নতুন বিধিমালায়।
শুল্ককর ছাড়া যেসব পণ্য আনা যাবে
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার, ভিডিও ও ডিজিটাল ক্যামেরা, টোস্টার, ব্লেন্ডার, জুসার, প্রেসার কুকার, গ্যাস ওভেন, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, টেবিল বা সিলিং ফ্যান, ২৯ ইঞ্চি টিভি, এক কার্টন সিগারেট, ১৫ বর্গমিটার কার্পেট ও বেবি ক্যারেজ, স্ট্রোলার, ক্যালকুলেটর, সাধারণ সিডি, ৪ স্পিকারের কম্পোনেন্ট।
শুল্ককর দিয়ে যেসব পণ্য আনা যাবে
১০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের টিভি (৩০-৬৬ ইঞ্চির বেশি), ৮ হাজার টাকা দামের হোম থিয়েটার (৪ স্পিকারের বেশি), ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল সেট, ৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা দামের ফ্রিজ বা ডিপ ফ্রিজ, ৭ থেকে ২০ হাজার টাকার এসি (উইন্ডো/স্প্লিট), ১৫ হাজার টাকার ক্যামেরা (প্রফেশনাল), ৫ হাজার টাকার এয়ারগান বা রাইফেল এবং ধরনভেদে ২ থেকে ৬ হাজার টাকা দামের ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ঝাড়বাতি ইত্যাদি।
নতুন নিয়মে যে পরিমাণ স্বর্ণ আনা যাবে
নতুন ব্যাগেজ বিধিমালায় ব্যক্তি পর্যায়ে স্বর্ণ আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এখন থেকে বছরে একবারের বেশি স্বর্ণের বার আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে নির্দিষ্ট পরিমাণ শুল্ককর পরিশোধের মাধ্যমে একজন যাত্রী বছরে যতবার ইচ্ছে ততবার ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনতে পারেন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী একজন যাত্রী বছরে সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি স্বর্ণের বার বা স্বর্ণ পিণ্ড একবার আনতে পারবেন।