বার্তা প্রতিবেদক: বাংলাদেশেই একদিন তৈরি হবে অত্যাধুনিক বিমান, পৃথিবীতে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশ হবে দিকপাল এমনই স্বপ্ন দেখালো এভিয়েশন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ। আর আগামীতে যারা এই স্বপ্ন পূরণে কাজ করবে সেই আজকের শিশুরা নতুন করে এমনই প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এর আয়োজনে শনিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান এভিয়েশন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ।
আয়োজকরা জানান, শিশু-কিশোরদের মাঝে বিজ্ঞান চর্চাকে আরোও বেশি বাড়িয়ে তুলতে এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন মজার প্রজেক্টের মাধ্যমে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিকাশে শিশু-কিশোরদেরকে আরোও বেশি উৎসাহিত করার জন্যেই এই আয়োজন যেখানে বাচ্চারা নিজেরাই প্লেন বানিয়েছে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে এবং নিজেরাই সেটাকে উড়িয়েছে মেন্টরদের তত্ত্বাবধানে। এর মাধ্যমে তারা মুলত এরোনটিক্যাল বিভিন্ন পার্টস সম্বন্ধে জেনেছে, জেনেছে প্লেন এর অতীত ইতিহাস সম্বন্ধে,বুঝেছে প্লেন কিভাবে উড়ে এবং এর ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআইয়ের যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক এবং আইসিটি ডিভিশনের যুগ্মসচিব, নাহিদ সুলতানা মল্লিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন –“ এ ধরণের আয়োজন শিশুদের উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ঘটাবে এবং সেই সাথে তাদের নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলবে। তিনি আরো বলেন এই আজকের শিশুরাই আগামী দিনে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত বিপ্লব সাধন করে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে”। আয়োজনে প্রোগ্রাম চেয়ার হিসেবে ছিলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর এ বি এম সিদ্দিক হোসেন। তিনি বলেন – “বাংলাদেশে এমন আয়োজন ব্যাপকভাবে হবার প্রয়োজন আছে এবং সেটির জন্য দরকার পর্যাপ্ত গাইডলাইন। সেই গাইডলাইন দিতে তিনি শিক্ষকসমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন, ‘মূলত বাচ্চাদের মাঝে বিভিন্ন মজার মজার প্রজেক্ট এবং খেলার ছলে বিজ্ঞানকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যেই এই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি আমরা। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদেরকে সায়েন্স, টেকনলোজী, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথম্যাটিকস, প্রবলেম সলভিং মেথড, টীম ওয়ার্ক ইত্যাদি হাতে কলমে শিখেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি আরো বলেন আগামীতে এই আয়োজন ঢাকার বাইরেও হবে।
আয়োজনটিতে ভেন্যু পার্টনার হিসেবে ছিলো আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে ছিলো ব্রুটেক্স টেকনোলজি লিমিটেড এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাইডসিস আইটি লিমিটেড, এইচ বি এভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টার, টেক টেরেইন আইটি লিমিটেড, ড্রিমার্জ ল্যাব লিমিটেড, ক্লাউড লাইভ বিডি, এনিগমা টিভি এবং ইভেন্টস ফ্লুয়েন্ট।