দেশের শীর্ষ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর একটি ফ্লাইট এক্সপার্ট হঠাৎ করে সম্পূর্ণভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এতে চরম উদ্বেগে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও পর্যটন এজেন্টরা। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা, বিটুবি এজেন্ট এবং গ্রাহকদের শতকোটি টাকা পাওনা রেখে কোম্পানিটি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং এর মালিকেরা পালিয়ে কানাডায় চলে যান।
শনিবার (২ আগস্ট) সকাল থেকে ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ বন্ধ পাওয়া যায়। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ বন্ধ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম ও তাঁর বাবা, মক্কা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ শাহ সম্রাট গোপনে কানাডায় চলে গেছেন। তাঁদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দেশের বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা, বিটুবি এজেন্ট ও সাধারণ গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে তাঁদের শত কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। অনেকেই টাকা পরিশোধ করেও টিকিট, হোটেল বুকিংসহ কোনো সেবা পাননি। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আইএটিএ’র কাছেও প্রতিষ্ঠানটির বিপুল অঙ্কের অর্থ বকেয়া রয়েছে। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা ফ্লাইট এক্সপার্ট অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি খাতে একটি পরিচিত নাম হয়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠানটি বিমানের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজারভেশন, ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা সহায়তাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করত। এর আগেও হালট্রিপ ও (TwentyFourTicket.com) মতো অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছিল। এ ধরনের প্রতারণা বারবার ঘটলেও যথাযথ নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে সাধারণ মানুষ বারবার ক্ষতির মুখে পড়ছে।