বার্তা প্রতিবেদক: ব্যাগ ভর্তি প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ খন্দকার মুকুল হোসেন নামের এক রাজস্ব কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এভিয়েশন সিকিউরিটি সদস্যরা তাকে আটক করেন। টাকা জব্দ করে জবানবন্দি নিয়ে টাকার কোন উৎসে জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় সেই টাকা জব্দ করা হয়। পরে কর্মকর্তার আইডি কার্ড, বোর্ডিং পাস জব্দ এবং জবানবন্দি নিয়ে সেই রাজস্ব কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেন বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মরত। বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে দুনীর্তি কমন কমিশন (দুদক) যশোর জেলা কার্যালয়। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (৩১ আগস্ট) দুদক যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল আমিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল বেনাপোল কাস্টম হাউসে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অভিযোগের দুদক দল সত্যতা পেয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদক থেকে জানানো হয়, ২৬ আগস্ট শুক্রবার বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেন যশোর বিমানবন্দরে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ঢাকা যাওয়ার সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ স্ক্যানিং করা হয়। এ সময় তার ব্যাগে বিপুল পরিমাণ টাকার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এ সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে জানানো হয়। ইউএস বাংলার ওই বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা রাজস্ব কর্মকর্তার ব্যাগ তল্লাশি করে ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই রাজস্ব কর্মকর্তা জব্দ করা টাকার কোন উৎস জানাতে ব্যর্থ হয়। সিকিউরিটির সদস্যরা তার আইডি কার্ড, বোর্ডিং পাস কার্ড জব্দ করেন। পরে জব্দকৃত টাকার নম্বরের তালিকা, রাজস্ব কর্মকর্তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণে জন্য অভিযোগ বেনাপোল কাস্টম হাউস কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট শনিবার বেনাপোল কাস্টম হাউস কমিশনার খন্দকার মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। আজকের অভিযানে টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অব্যাখ্যায়িত ও অবৈধ অর্থ দখলে রেখে হস্তান্তর করার বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর শীঘ্রই সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
এই বিষয়ে বেনাপোল কাস্টম হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগ উঠার পর ২৭ আগস্ট এই রাজস্ব কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশের জবাব দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এনবিআরকে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
###