রমজানে অতিরিক্ত পণ্য আমদানি হলেও কমছে না দাম

রমজানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি হলেও বাজারে দাম কমছে না, বরং কিছু পণ্যের মূল্য বেড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আমদানিকারকরা কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য পণ্য বন্দরে খালাস না করে সাগরে ভাসমান গুদামে রেখে দিচ্ছেন। ফলে রমজানে মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা রয়ে গেছে।

রমজানে ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, ডাল, ছোলা, খেজুরসহ বেশ কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, যা নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করে। তবে এবার বাজারে কোনো পণ্যের সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা নেই বলে জানা গেছে। আমদানিকারকদের মতে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে নিয়মিত পণ্য আসছে এবং রাত-দিন চলছে খালাসের কাজ। বন্দরে এখনো শতাধিক পণ্যবাহী জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে, পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আরও নিত্যপণ্য আমদানি হবে। ফলে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টন; যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬ কোটি ৫৮ লাখ টন।

আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে পাম ও সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টন। চিনি আমদানি হয় ১ লাখ ৪ হাজার টন। পেঁয়াজ আমদানি হয় ৮২ হাজার টন। ডাল আমদানি হয় ১ লাখ ৯৫ হাজার টন। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছোলা আমদানি হয়েছে ২৮ হাজার ৩৩৪ টন, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ হাজার ৬৭৬ টন। খেজুর আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৮ টন। এভাবে রমজানের প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হওয়ায় বাজারে সংকট থাকবে না।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানা যায়, আমদানি করা কয়েক হাজার টন পণ্য নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাগরে ভাসছে দুইশর বেশি লাইটার জাহাজ। তবে দাম বাড়ানোর কৌশল হিসাবে আমদানিকারকরা খালাস না করে সাগরে ভাসমান গুদাম বানিয়ে পণ্যগুলো রেখেছেন। সময়মতো পণ্য খালাস না করায় চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজের সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!