১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা জানিয়েছেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন—বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরও আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকব। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে আমরা আশা করেছিলাম, শুল্ক হার ২০ শতাংশের নিচে থাকবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশের ওপর নতুন ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের ঘোষণা দেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিল। তবে এবার সেই হার ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশটি হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন শুল্ক হার তুলে ধরা হয়েছে। আদেশ অনুযায়ী, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯, আফগানিস্তানের ওপর ১৫, ব্রাজিলের ওপর ১০, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের ওপর ১৯, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ এবং মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির খবরে জানা গেছে, আগামী ৭ আগস্ট থেকে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে গড় ১৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে নতুন ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক মিলিয়ে মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। এ অবস্থায় শুল্ক ইস্যুতে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (USTR) দপ্তরের সঙ্গে তারা টানা তিন দিন—মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার—আলোচনা করেছেন শুল্ক হার কমানোর বিষয়ে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। দলে আরও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।