যাত্রী নিরাপত্তায় মেট্রোরেলে থাকবে এমআরটি পুলিশ

ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেট্রোরেলের ভেতরে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে এমআরটি পুলিশ। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, প্রতিটি ট্রেনে দুইজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন এবং তারা পুরো ট্রেন টহল দেবেন। তবে এ ব্যবস্থা কতদিন বজায় থাকবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ডিএমটিসিএল। এমআরটি পুলিশের ডিআইজি সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান জানিয়েছেন, ডিএমটিসিএলের নির্দেশনায় ট্রেনে পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এমআরটি পুলিশের ডিআইজি সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান জানান, ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীদের আতঙ্ক কমানো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে এমআরটি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। ডিএমটিসিএলের নতুন এমডির নির্দেশনায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই পুলিশ সদস্যের কাজ নিয়ে তিনি বলেন, প্রতি ট্রেনে দুজন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন। তারা পুরো ট্রেনে টহল দিবেন। তারা দেখবেন কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে কী না। যখন যার ডিউটি থাকবে তারা ট্রেনে দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের সঙ্গে একজন করে আনসার সদস্যও থাকতে পারেন।

ডিএমটিসিএলের একজন উপ মহাব্যবস্থাপক বলেন, এখন রোজার মাস চলছে, সামনে ঈদ। এ সময় যাত্রীরা যেন নিরাপদে চলতে পারেন তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো, পাশাপাশি তারা যেন নিরাপদবোধ করেন এজন্য ট্রেনে পুলিশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। কতদিন পর্যন্ত তা বহাল থাকবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। ২০২৪ সালের শুরুতেই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের সবগুলোই খুলে দেওয়া হয়।এর সার্বিক নিরাপত্তায় চলতি বছরের ২০২৩ সালের ২৪ মে ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পুলিশ গঠনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় সরকার। মেট্রোরেল স্টেশন ও স্থাপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করে ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর থেকে।

একজন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি)-এর নেতৃত্বে এমআরটি পুলিশ গঠন করা হয়েছে, যার কার্যক্রম বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পরিচালিত হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!