যমুনা-পূবালী ব্যাংকের ১৩০০ কোটির বন্ড অনুমোদন

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পূবালী ও যমুনা ব্যাংকের মোট ১,৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে পূবালী ব্যাংকের জন্য ৫০০ কোটি এবং যমুনা ব্যাংকের জন্য ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির কমিশন সভায় এই বন্ড দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপত্র আবুল কালামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্ডগুলো দেশের ব্যাংক খাতের মূলধন ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।

বন্ডগুলো প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ও উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করা হবে, যেখানে প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত, ব্যাংক দুটির এই বন্ড ইস্যুর উদ্দেশ্য হলো ব্যাসেল-৩ এর আওতায় টায়ার-২ মূলধন সরবরাহ করা। বন্ডগুলো বিকল্প ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)–তে তালিকাভুক্ত হবে।

কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বন্ড দুটির বৈশিষ্ট একই ধরনের। বৈশষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে দুটি বন্ডই অসুরক্ষিত, রূপান্তর অযোগ্য, পূর্ণাঙ্গ ফেরতযোগ্য, ভাসমান সুদহারসম্পন্ন সাবঅর্ডিনেট। বন্ড দুটির সুদহার হবে প্রতিক সূচক হার (রেফারেন্স রেট) + ৩% মার্জিন।

দুটি বন্ডেরই ট্রাস্টি হিসাবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স। পূবালী ব্যাংকের বন্ডের অ্যারেঞ্জার হিসেবে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। অপরদিকে যমুনা ব্যাংকের অ্যারেঞ্জার হিসাবে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট এখনও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও এগুলোর লেনদেন হয় না বললেই চলে। তালিকাভুক্ত বন্ডের মধ্যে সরকারি বন্ডের সংখ্যাই বেশি। অল্প কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানির বন্ড রয়েছে।

বন্ড মার্কেট উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ড মার্কেট উন্নয়নে সরকারের করণীয় বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে, যা শিগগিরই সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। গত সোমবার বিএসইসি ও ডিএসইর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই তথ্য জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!