মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক শতাংশ সারচার্জ আদায় কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। রুলটি ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনশাস কনজ্যুমারস সোসাইটির (সিসিএস) করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানির পর সোমবার (১৮ আগস্ট) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জারি করেছে।
গত ৪ জুন, সিসিএস সারচার্জ প্রত্যাহারের জন্য সাত দিনের সময়সীমা দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এবং গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল। এর পর ১০ জুলাই, সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এক শতাংশ সারচার্জ আদায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন, ২০১৫’-এর অধীনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সারচার্জ ২০১৬ সালের ১০ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়। এর আওতায় এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় হয়েছে। তবে সিসিএসের যুক্তি, আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে সরকারকে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই ধরনের লেভি আরোপ করতে হবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি, ফলে সারচার্জ অনির্দিষ্টকালের জন্য বহাল আছে। পদ্মা সেতু ২০২২ সালে উদ্বোধন হলেও মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সারচার্জ আদায় বন্ধ হয়নি।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য সারচার্জ আদায় করা আইনের পরিপন্থী এবং এটি ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘন।
** পদ্মাসেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধের দাবিতে রিট
** পদ্মা সেতু নির্মাণে সারচার্জ বন্ধে আইনি নোটিশ