মোংলা বন্দর উন্নয়নে ৪০৬৮ কোটি টাকা ব্যয়

মোংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে জি টু জি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) মাধ্যমে কার্যক্রম ও পণ্য ক্রয় কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে, যার মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় জি টু জি ভিত্তিতে ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৪ হাজার ৬৮ কেটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

এতে চীন সরকার কর্তৃক প্রকল্প ঋণ ৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চীনের ৩টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেয়। তার মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অন্য ৩টি চীনা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনকে (সিসিইসিসি) যথোপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। এছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২৮২তম বোর্ড সভায় যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিরূপণ করে উক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়।

প্রকল্পের ডিপিপিতে বর্ণিত প্রধান ক্রয় কার্যক্রমের মধ্যে মোংলা বন্দরে ৪ লাখ টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা অর্জনের জন্য ২টি কন্টেইনার জেটি (৩৬৮ মিটার), ৮৭,৬০০ বর্গ মিটার কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৩৪,১৭০ বর্গ মিটার খালি কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৪,২৬০ বর্গ মিটার হ্যাজার্ডাস কার্গো হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭টি আরটিজি, ৩৩টি অন্যান্য যন্ত্রপাতি, সার্ভে ও ডিজাইন, ভূমি উন্নয়ন, আরসিসি পেভমেন্ট, মেরিন স্ট্রাকচার, আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ পরিচালন ভবন, তেল সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থা, ইলেকট্রিক্যাল কাজ, আইসিটি ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ, নিষ্কাশন ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অটোমেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!