ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এ সাঈদ ও অর্থঋণ আদালতের বিচারক এ কে এম রফিকুল হাসানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট, মৃত স্বামীর ঋণের দায়ে তিন এতিম সন্তানের মাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায়। একই সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংক ফরিদপুরের বোয়ালমারী শাখার ব্যবস্থাপককেও তলব করা হয়েছে। তাদের ৬ মার্চ সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এছাড়া একই আদেশে পপি খাতুনকেও অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জামিউল হক ফয়সাল সাংবাদিকদের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২৭ জানুয়ারি একটি গণমাধ্যমে ‘মৃত স্বামীর ঋণের দায়ে স্ত্রী কারাগারে, মামলার আসামি এতিম তিন শিশু সন্তান ঘুরছে দ্বারে দ্বারে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরের পোল্ট্রি মুরগি ব্যবসায়ী মৃত আমিন শেখ ও পপি খাতুন দম্পতির তিন শিশু সন্তান আইরিন (১০), আহমাদুল্লাহ (৫) ও জানাতুন নাঈমা (৪) সম্পর্কে বলা হয়। তাদের বাবা আমিন শেখের মৃত্যুর পর ব্র্যাক ব্যাংকের ঋণের দায়ে মা পপি খাতুন কারাগারে পাঠানো হয়, ফলে এতিম তিন শিশু একদিকে মায়ের শূন্যতা, অন্যদিকে পুলিশের ভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। ২৬ জানুয়ারি পৌরসদরের অডিটোরিয়াম এলাকায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর পপি খাতুনের জামিন চাওয়া হলে হাইকোর্ট শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।