মৃত্যুর ৫ বছর পর এন্ড্রু কিশোরকে কর পরিশোধের চিঠি!

মৃত্যুর পাঁচ বছর পর বাংলা গানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরকে আয়কর পরিশোধের চিঠি পাঠিয়েছে কর অঞ্চল–১২। সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এন্ড্রু কিশোরের ৭২ হাজার ৮০৩ টাকা কর বকেয়া আছে। কর অঞ্চল–১২ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০০৫–০৬ অর্থবছরে ২২ হাজার ৪২৩ টাকা এবং ২০১২–১৩ অর্থবছরে এন্ড্রু কিশোরের কাছে তাদের পাওনা ৫০ হাজার ৩৮০ টাকা।

এই বিষয়ে কাজী রেহমান সাজিদ ‘এটা আমাদের নিয়মিত কাজ। এন্ড্রু কিশোরের কাছে পাওনার দায়ভার তাঁর উত্তরাধিকার যাঁরা আছেন, তাঁদের ওপর বর্তাবে। এন্ড্রু কিশোরের উত্তরাধিকারদের কেউ আমাদের লিখিতভাবে জানাননি, তাঁর বকেয়া কে বা কারা পরিশোধ করবেন। আমাদের অফিশিয়াল রেকর্ডেও তিনি যে মৃত তা নেই। তাই এটা এখনো বকেয়া হিসেবে আছে, সে জন্যই এই চিঠি পাঠানো।’

এবার দেখা যাক, এনবিআর মৃত করদাতার সম্পদ থেকে আয়ের ওপর কীভাবে কর আদায় করবে। প্রথমেই মৃত করদাতার একজন উত্তরাধিকারীকে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করবেন কর কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট উপ–কর কমিশনার নোটিশ করে তা ওই উত্তরাধিকারকে জানাবেন। পরে ওই উত্তরাধিকারী প্রতিবছর ওই মৃত করদাতার পক্ষে রিটার্ন জমা দিয়ে নির্ধারিত কর পরিশোধ করবেন।

এখানে বলা প্রয়োজন, মৃত ব্যক্তির নামে থাকা সম্পদ বা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুধু করযোগ্য আয় থাকলেই রিটার্ন দিয়ে কর দিতে হবে। করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন দিতে হবে না। যত দিন পর্যন্ত ওই সম্পদ তাঁর উত্তরাধিকারীদের নামে ভাগ-বাঁটোয়ারা না হবে, তত দিন মনোনীত প্রতিনিধি ওই মৃত করদাতার পক্ষে কর দিয়ে যাবেন। কোনো কারণে কর না দিলে কিংবা আয়কর অধ্যাদেশ শর্তসমূহ পরিপালন না করা হলে ওই মনোনীত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে।

দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের জুলাইয়ে মারা যান এন্ড্রু কিশোর। বাংলা গানের এই কণ্ঠশিল্পী ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আধুনিক ও চলচ্চিত্রজগতের কালজয়ী অনেক গান তাঁর কণ্ঠে সমৃদ্ধ হয়েছে। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ—সব অনুভূতির গানই তিনি গেয়েছেন। ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর তিনি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!