মাসুদের তিন মানিব্যাগে আসে তিন কোটি টাকার স্বর্ণ

** এম মাসুদ ইমাম বাংলাদেশি বংশোভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: যাত্রীর একটি মানিব্যাগে মিলেছে একটি স্বর্ণের কয়েন বা গোল্ড মেডেল। শেষে তল্লাশি করে পাওয়া গেলো একই রকমের আরো দুইটি মানিব্যাগ। যাতে পাওয়া গেছে ২৮টি স্বর্ণবার। যার মূল্য প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা। হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের এক যাত্রীর তিনটি একই রকমের মানিব্যাগ থেকে এই স্বর্ণবারগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে স্বর্ণসহ এম মাসুদ ইমাম নামে ওই যাত্রীকে আটক করেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তিনি বাংলাদেশি বংশোভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। কাস্টমস গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক ফারহানা বেগম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Gold HCN 02

তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্স ইকে ৫৮৪ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই বিমানে স্বর্ণ চোরাচালানের তথ্য পায় কাস্টমস গোয়েন্দা। এরই প্রেক্ষিতে বিমানবন্দরে সর্তক অবস্থান নেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিমানটি ১০ নং বোর্ডিং ব্রিজে সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তল্লাশি করেন। এসময় গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই বিমানের ২৬ক সিটের যাত্রী এম মাসুদ ইমাম এর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

তার দেহ তল্লাশি করে প্রথমে একটি চামড়ার মানিব্যাগের ভেতর একটি বড় আকারের স্বর্ণের কয়েন বা গোল্ড মেডেল পাওয়া যায়, যা তিনি নিজের বলে স্বীকার করেন। পরে ওই যাত্রীর কাছ থেকে একই আকৃতির আরো দুইটি মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়, যার ভেতর থেকে লুকানো অবস্থায় ২৮টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। যাত্রী মাসুদের কাছ থেকে আটক করা মোট স্বর্ণের ওজন তিন হাজার ৪৯৮ গ্রাম (কয়েনের ওজন ২৫০ গ্রাম)। যার আনুমানিক বাজার মূল্য তিন কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। পরে যাত্রী এম মাসুদ ইমামকে আটক করা হয়। তিনি বাংলাদেশি বংশোভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারহানা বেগম।

***

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!