ভ্যাট ফাঁকি থেকে বাঁচতে নাটক, মামলা

বার্তা প্রতিবেদক: বরিশালের আগৈলঝাড়ার প্রতিষ্ঠান মিল্ক বার সুপার আইসক্রিম ও চান হোটেল। এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। দুইটি প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট ফাঁকি তদারকি গেলে এবার ভ্যাট কর্মকর্তাদের উল্টো ‘হয়রানির’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুইটির বিরুদ্ধে বরিশাল কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-২ থেকে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

Vat Borisal 01

মঙ্গলবার (২৮ জুন) এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বরিশাল ভ্যাট বিভাগের দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও এক সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে যে হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়েছে তা তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা ভ্যাট কমিশনারেটের উপ কমিশনার (সদর দপ্তর) মারুফুর রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

Vat Borisal 02

এই বিষয়ে খুলনা ভ্যাট কমিশনারেটের একজন কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তারা ভ্যাট তদারকি করতে গেলে প্রতিষ্ঠান থেকে উল্টো কর্মকর্তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। দুইটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে। আমরা ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছি। দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে তদারকি করতে যাওয়া কোন কর্মকর্তা হয়রানি করেছে কিনা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সাত কার‌্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

বরিশাল ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার বরিশাল ভ্যাট বিভাগের দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও একজন সাব ইন্সপেক্টর আগৈলঝাড়ায় যায়। নিয়মিত কাজের অংশ হিসাবে মিল্ক বার সুপার আইসক্রিম ও চান হোটেলে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ ও যথাযথ ভ্যাট প্রদানের বিষয়ে কথা বলেন। ভ্যাট কর্মকর্তারা বিক্রয় সংক্রান্ত দলিলাদি যাচাইয়ে পর্যাপ্ত ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পায়। ভ্যাট পরিশোধের জন্য বলা হলে আইসক্রিম ফ্যাক্টরি ও খাবার হোটেলের মালিক পক্ষ অস্বীকার করেন।

Vat Borisal 03

ফাঁকি থেকে বাঁচতে উল্টো ভ্যাট কর্মকর্তাদের চাঁদাবাজির কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে গোলযোগের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ভ্যাট কর্মকর্তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দুইটির মালিকদের ভ্যাট দেন কিনা জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান দুইটির মালিক জানান যে তারা ভ্যাট দেন না। দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

অপরদিকে, পরিদর্শনকারী ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যে মৌখিক অভিযোগ করা হয়েছে; তা তদন্তের জন্য খুলনা ভ্যাট কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (সদর দপ্তর) এর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার‌্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

###

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!