ভ্যাট নিবন্ধনে ২৬% প্রবৃদ্ধি, ৫ লাখ ৪৭ হাজার ছাড়াল

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জুলাই-আগস্টের সংকট কাটিয়ে গত ৬ মাসে ভ্যাট নিবন্ধনে ২৬% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বর্তমানে ভ্যাট নিবন্ধনের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ৪৭ হাজার। মঙ্গলবার এনবিআর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায়ের সকল কমিশনারগণকে নতুন নিবন্ধন প্রদান ও আইনানুগ রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে করদাতাদের সাথে সেবামূলক মনোবৃত্তি বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া সকল কর্মকর্তাদের নতুন ভ্যাটদাতা বাড়ানো জন্য মেধাজাত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আউট অব দা বক্সে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। কর্মকর্তাদের কর্মপ্রবণতা, দক্ষতা ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নিবন্ধন সংখ্যা প্রবৃদ্ধিতে সকল কর্মকর্তাকে ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ প্রদান করা হবে।

এই কর্মকর্তা বলেন, ভ‍্যাট নেট বৃদ্ধিতে এনবিআর দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমান ধারা অব‍্যাহত থাকলে পরবর্তী ছয়মাসে নতুন নিবন্ধন সংখ্যা ৫০ শতাংশে উন্নীত করার প্রত‍্যাশা এনবিআরের। এ জন্য সর্বস্তরের অংশীজন, ব্যবসায়ী, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সকলকে ইতিবাচক মনোবৃত্তি গ্রহণ ও সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এনবিআর সূত্রমতে, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ অনুযায়ী ভ্যাটের আওতা বাড়ানো এবং নতুন নতুন ভ্যাট দাতাকে ভ্যাট নেটে অর্ন্তভুক্তরণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান নানা ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। ফলশ্রুতিতে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরবর্তী ছয়মাসে বিগত একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি প্রতিষ্ঠানকে নতুন নিবন্ধন প্রদানের মাধ্যমে ভ্যাট নেটে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।

আগস্ট ২০২৩ মাসে নতুন ভ্যাট নিবন্ধন ছিল ৫৬৪৪টি, যা আগস্ট ২০২৪ মাসে কমে ৪২২৮টি হয়েছে। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে নতুন নিবন্ধন সংখ্যা ২৫% কমে গেছে। সরকার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে ভ্যাট নেট বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জুলাই-আগস্ট পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্যে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যার জন্য নতুন ভ্যাট নেট বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। গত আগস্ট ২০২৩ মাসে নিবন্ধন সংখ্যা ছিল ৫৬৪৪টি কিন্তু আগস্ট ২০২৪ মাসে নিবন্ধন সংখ্যা কমে ৪২২৮ টি হয়। অর্থাৎ একই সময়ের তুলনায় নতুন নিবন্ধন সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমে যায়।

এনবিআরের নতুন প্রশাসন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নতুন ভ্যাটদাতা শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন নিবন্ধনের হার ২৬% বৃদ্ধি পায়। নতুন ভ্যাট নিবন্ধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনবিআর ভ্যাটযোগ্য বার্ষিক টার্নওভার সীমা ৩ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া, ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত রাখা হয়েছে এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!