বাংলাদেশে তৈরি খেলনা এখন বিশ্বের ৮৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের খেলনা রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
বাংলাদেশে খেলনার বাজারের আকার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে দেশের প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান খেলনা উৎপাদনে নিয়োজিত রয়েছে এবং এ খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষের। বাংলাদেশে তৈরি খেলনা রপ্তানি হচ্ছে ৮৮টি দেশে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুই দিনব্যাপী ‘টয় এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ। এক্সপোর উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান।
টয় এক্সপোর আয়োজন যৌথভাবে করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে)’। এক্সপোতে অংশ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩০টি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের আরএফএল প্লাস্টিক লিমিটেডও। ‘শোকেসিং অ্যান্ড সোর্সিং শো অন প্লাস্টিক টয় ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রদর্শনী শেষ হবে শুক্রবার (২৩ মে)।
বিপিজিএমইএ সভাপতি জানান, বাংলাদেশে তৈরি খেলনার রপ্তানি ক্রমাগত বাড়ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২৪ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের নীতিগত সহায়তা এবং কাঁচামাল আমদানিতে কর সুবিধা মিললে দেশের খেলনা শিল্প আরও দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্লাস্টিকের খেলনা শিল্প যে এতটা অগ্রসর হয়েছে, তা তাঁর কল্পনারও বাইরে ছিল। তিনি জানান, এই খাতে আরও অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে। গাজীপুরে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও খেলনার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ তৈরি করতে কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে প্লাস্টিক খেলনা শিল্পে বড় অগ্রগতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, খেলনা শিল্পের উন্নয়নে প্রযোজ্য নীতিগত সহায়তা ও প্রয়োজনে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।