বিকাশ ডিপিএসে সর্বোচ্চ কিস্তি এখন ২০ হাজার টাকা

মাসিক ডিজিটাল সঞ্চয় সেবার পরিসর আরও সম্প্রসারণ করেছে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এখন থেকে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকেরা প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা কিস্তিতে সঞ্চয়ী আমানত বা ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) চালু করতে পারবেন। আগে এই সীমা ছিল ১০ হাজার টাকা। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানিয়েছে, তাদের অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সে ছয় মাস মেয়াদি ডিপিএস খোলা যাবে, যেখানে মাসিক কিস্তি হতে পারবে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা।

বিকাশ ২০২১ সালে ডিজিটাল সঞ্চয় বা সেভিংস সেবা চালু করে। শুরুতে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মাধ্যমে মাসিক ভিত্তিতে ডিপিএস চালু করা হয়। পরে আরও চারটি ব্যাংক এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়। ২০২৪ সালের শুরুতে বিকাশ অ্যাপে সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবাও চালু হয়। ইসলামি শরিয়াহ অনুসারে সঞ্চয়ের সুযোগ দিতে সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবাও যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিকাশ জানায়, এই সেবাগুলোর আওতায় এখন পর্যন্ত গ্রাহকেরা ৪০ লাখের বেশি ডিপিএস হিসাব খুলেছেন।

এত দিন গ্রাহকেরা সঞ্চয়ের মেয়াদ অনুযায়ী ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত ২৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস চালু করতে পারতেন। এখন এই কিস্তির সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে ২০ হাজার টাকার ডিপিএসের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ মাস। বিকাশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে স্বল্পমেয়াদি সঞ্চয় করতে চাওয়া গ্রাহকদের জন্য এই ছয় মাসের ডিপিএস হবে বিশেষভাবে উপযোগী।

বিকাশে ডিপিএস চালু করার নিয়ম

নতুন ডিপিএস চালু করতে হলে, গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকতে হবে। এরপর অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’ অপশনটি বেছে নিতে হবে। সেখানে সেভিংসের ধরন হিসেবে ‘সাধারণ সেভিংস’ নির্বাচন করে মেয়াদ হিসেবে ছয় মাস বাছাই করতে হবে। এরপর মাসিক কিস্তির পরিমাণ—২ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার বা ২০ হাজার টাকার মধ্যে যেকোনো একটি নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তী ধাপে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দমতো আইডিএলসি ফাইন্যান্স অথবা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর নমিনির তথ্য পূরণ করে ডিপিএসের বিস্তারিত তথ্য পর্যালোচনা করতে হবে। সবশেষে নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে সম্মতি দিলে ডিপিএস চালু হয়ে যাবে।

সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে স্ক্রিনের নিচে ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ডিপিএস আবেদন সম্পন্ন হবে। এরপর গ্রাহকের কাছে বিকাশ ও নির্বাচিত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে। বিকাশ জানায়, অ্যাপ থেকে যেকোনো গ্রাহক একাধিক ডিপিএস খুলতে পারেন। প্রতিমাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়। নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সুদ বা মুনাফাসহ সঞ্চিত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হয়, যা কোনো চার্জ ছাড়াই ক্যাশআউট করা যায়। চাইলে গ্রাহকেরা প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তির আগেই ডিপিএস বন্ধ করে সঞ্চিত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!