** দেশে বর্তমানে দুই হাজার ৬৫০টি লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সরবরাহকারী সেবা দিচ্ছে
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায়ও সম্পূরক শুল্ক বসিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দীর্ঘদিন অব্যাহতি থাকা এই সেবার উপর ১০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্কারোপ করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায়। এতে এ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ বাসা-বাড়ি ও অফিস আদালতে আইএসপির মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া ইন্টারনেটের খরচ বাড়বে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে জারি করা দুই অধ্যাদেশে শুল্ক ও কর বাড়ানোর নির্দেশনা রয়েছে। অধ্যাদেশ জারির পর তা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ে ভ্যাটের হার ৫ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর ১০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। শুল্ক ও করের এ ভার বহন করতে হবে গ্রাহককেই।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘এক দেশ এক রেট’ প্যাকেজে ৫০০ টাকার প্যাকেজে ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়। তৃণমূলে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে এবং একজন নতুন গ্রাহক সংগ্রহে প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয় তাদের।সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ব্যবসায়ে নতুন করে শুল্ক ও করারোপ এবং পরিচালন ব্যয় বাড়ানোয় সেবার মান ধরে রাখাও অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। রোববারের (১২ জানুয়ারি) মধ্যে এটি প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। প্রথমবারের মতো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায়ও বসেছে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) বলছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে এক হাজার টাকার সংযোগে গ্রাহককে বাড়তি দিতে হবে ১৫৫ টাকা।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, গ্রাহককে ৭৭ টাকা ৫৫ পয়সা অতিরিক্ত দিতে হবে ৫০০ টাকার সংযোগে। আর ১ হাজার সংযোগে বাড়তি দিতে হবে ১৫৫ টাকা। সরকার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে আগামী মাস থেকেই নতুন বিল গ্রহণ করা হবে। ইন্টারনেটের দাম বৃদ্ধির ফলে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এমনিতেই দাম বেশি। এখন আবার আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে সমস্যায় পড়তে পারেন ফ্রিল্যান্সাররা।