** ফেঁসে যেতে পারেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনারসহ তিন কর্মকর্তা
দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাজারে এলজি ব্রান্ডের পণ্য আমদানি করে বাজারজাত করছে বাটারফ্লাই গ্রুপ। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ দিয়ে এসব পণ্য খালাস হয়। তবে এসব পণ্য মিথ্যা ঘোষণায় খালাস করার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের একজন ডেপুটি কমিশনারকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এই অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বাটারফ্লাই গ্রুপের পণ্য খালাস করেন ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মাজেদুল হকের নেতৃত্বে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) জসিম উদ্দিন মজুমদার ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) ফেরদৌসী স্বর্ণা। এই ৩ জন মিলে বাটারফ্লাই গ্রুপকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ বিষয়ে তদন্ত করে দুদকে জমা দেয়ার জন্য এনবিআরকে একটি চিঠিও দিয়েছে দুদক।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার মাজেদুল হক জানিয়েছেন, কত পণ্য খালাস করতে হয়। কবে কোন গ্রুপের পণ্য কম শুল্কায়ন করেছি তা বিল অব এন্ট্রির নাম্বার দেখে বলতে হবে। পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করলে বাটারফ্লাই গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং এই ধরনের কোনো বিষয় তার জানা নেই বলে জানান। তবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মজুমদার সরাসরি বলেন যে এসব বিষয় তিনি জানেন না।
সূত্র আরো জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডিসি মাজেদুল হক অন্যান্য ব্রান্ডের পণ্যের ক্ষেত্রে ৩০ ডলার করে ভ্যালু পুনর্নির্ধারণ করলেও বাটারফ্লাইয়ের পণ্য ১৮ ডলার করেন। সুইং হেড মেশিন রিনউন ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে ৩০ ডলার নির্ধারণ করলেও বাটারফ্লাইয়ের ক্ষেত্রে তা ১৮ ডলার ও ২০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে সরকারের, অন্যদিকে অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর বাটারফ্লাই গ্রুপকে মনোপলি ব্যাবসা করার সুযোগ দিচ্ছেন এই কাস্টমস কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে বাটারফ্লাই গ্রুপের ভ্যাট ও ট্যাক্স সংক্রান্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আমি এখন কিছু বলতে পারব না আপনি অফিসে আসেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে ফের যোগাযোগ করলে তিনি বাটারফ্লাই গ্রুপের মার্কেটিংয়ের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে মার্কেটিংয়ের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তো এনবিআর সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানি না। আপনি ভ্যাট-ট্যাক্স বিভাগে যোগাযোগ করেন।