বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাপান, যা বর্তমান বাজারদরে (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ। এই সহায়তার মধ্যে বাজেট সহায়তা যেমন রয়েছে, তেমনি রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পেও অর্থ ব্যয় হবে। এছাড়া শিক্ষা খাতে কিছু অর্থ অনুদান হিসেবেও প্রদান করবে জাপান।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে জানান, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এই ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফরে রয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শফিকুল আলম তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশকে জাপান মোট ১০৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে, যার মধ্যে রয়েছে বাজেট সহায়তা, রেলপথ উন্নয়ন ও বৃত্তি অনুদান। চুক্তি অনুযায়ী, অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য জাপান ৪১ কোটি ৮ লাখ ডলার দেবে। পাশাপাশি, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেলপথকে দ্বৈত গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করতে ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া বৃত্তি সহায়তা হিসেবে জাপান সরকার ৪২ লাখ ডলার অনুদান দেবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত) জাপান প্রকল্প সহায়তা হিসেবে মোট ৯০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ঋণ ছাড় করেছে।
জাপান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি বিভিন্ন অবকাঠামো ও কারিগরি প্রকল্পে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে আসছে। দ্বিপক্ষীয় সহায়তার ভিত্তিতে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। সংস্থা ও দেশভিত্তিক হিসাবে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পর জাপান বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা। জাপানের দেওয়া ঋণে সুদের হার তুলনামূলক কম এবং পরিশোধের সময়সীমা থাকে ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত।