পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না এমন বর্জ্যের কার্যকর ও পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের শিল্পগোষ্ঠি প্রাণ-আরএফএল ও লাফার্জহোলসিম একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী সই করেন।
প্রাণ-আরএফএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, সুনামগঞ্জের ছাতকে অবস্থিত লাফার্জহোলসিমের প্ল্যান্টে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের অপচনশীল ও পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না এমন বর্জ্য টেকসই উপায়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। ফলে এসব বর্জ্য পরিবেশের সাথে মিশবে না, যা পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
উজমা চৌধুরী বলেন, ‘অনেক বর্জ্য আছে, যা রিসাইকেল করা সম্ভব নয়। এসব বর্জ্য মাটি এবং পানিতে মিশে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। এ কারণে আমরা লাফার্জহোলসিমের সাথে পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এমন বর্জ্যের কার্যকর ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার জন্য একসাথে কাজ করব।’
ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বর্জ্য শূন্য দেশ উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ছাতক প্ল্যান্ট দেশের একমাত্র স্বয়ংসর্ম্পূর্ণ সিমেন্ট প্ল্যান্ট যেখানে ক্লিংকার উৎপাদন করা হয়। এই প্ল্যান্টে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য টেকসই উপায়ে ব্যবস্থাপনা করার সুবিধা রয়েছে।’
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল, হেড অব করপোরেট ব্র্যান্ড নুরুল আফসার, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) তৌহিদুজ্জামান এবং লাফার্জহোলসিমের হেড অব কমিউনিকেশন, সিএসআর অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি তৌহিদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজার (জিওসাইকেল) নুরে তামরিন চৌধুরী ও ডেপুটি ম্যানেজার (জিওসাইকেল) আরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন।
****