ফ্ল্যাট কিনে কালো টাকা সাদা করেছেন সাবেক প্রেস সচিব

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক এই সাংবাদিক তার নিজের, স্ত্রী ও ছেলের নামে চারটি ফ্ল্যাট কিনে কালো টাকা সাদা করেছেন। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট কালো টাকা সাদা করার প্রমাণ পেয়েছে। আবুল কালাম, তার স্ত্রী ও সন্তানের নামে থাকা ছয় কোটি টাকার এফডিআর ফ্রিজ বা জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছে আয়কর গোয়েন্দা। সম্প্রতি তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। শ্যামল দত্ত সর্বশেষ ভোরের কাগজের সম্পাদক ছিলেন।

আয়কর গোয়েন্দার তথ্য বলছে, আয়কর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী আক্তারি বেগম ও ছেলে ইশতিয়াক আজাদের আয়কর ফাইল যাচাই করেছে। যাতে দেখা গেছে, তারা তিনজনের নামে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার মূল্য পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কিন্তু ফাইলে দেখিয়েছেন দুই কোটি তিন লাখ টাকা। আবার এই ফ্ল্যাট কিনে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। অর্থাৎ ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার বিধান বা আইনে চারটি ফ্ল্যাট কিনে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এছাড়া আক্তারি বেগম ২০২০-২১ করবর্ষে কালো টাকা সাদা করার ধারার সুযোগ নিয়ে আরো চার কোটি টাকা ঘোষণা বা কর ফাইলে প্রদর্শন করেছেন। তাদের তিনজনের নামে ছয় কোটি টাকার এফডিআরও পাওয়া গেছে। এফডিআরের এ টাকা ফ্রিজ করেছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট।

অপরদিকে, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও তার স্ত্রী সঞ্চিতা দত্তের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের (প্রোপাইটরশিপ-সাদিয়া ট্রাভেলস ও অন্য) নামে এফডিআর হিসাব ও স্থায়ী আমানত হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করা হয়েছে। তাদের আমানতের স্থিতির তথ্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে আয়কর গোয়েন্দা। শ্যামল দত্ত তার বেতনের অর্থও আয়কর নথিতে প্রদর্শন কখনো করেননি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!