ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা সপ্তাহে দুই দিনের বেশি সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তারা সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া, হাসপাতালে থাকার সময় রোগীদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) কোনো ছবি তোলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক পরিপত্রে এসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে। দেশব্যাপী সব সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালককে পাঠানো ওই পরিপত্রে মোট আটটি নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে সপ্তাহে শুধু দুই দিন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার—ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। সাক্ষাতের জন্য দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের বাইরে কোনো ওষুধ কোম্পানির কোনো প্রতিনিধি সরকারি হাসপাতালের সীমানার মধ্যে অবস্থান করতে পারবেন না। সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কোনো বেসরকারি সিল ব্যবহার করা যাবে না। তবে বিজ্ঞাপনবিহীন জেনেরিক নামের সিল ব্যবহার করা যাবে। বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির সরবরাহ করা ওষুধের তালিকা টেবিলে রাখা যাবে না বলে চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সাক্ষাতের সময় সব প্রতিনিধিকে অবশ্যই নিজ নিজ কোম্পানির দেওয়া পরিচয়পত্র দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবেই রোগীর কোনো তথ্য সংগ্রহ বা ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলতে পারবেন না।
হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের চেম্বারে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা হয়ে আসছে। এতে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন এবং হাসপাতালের কর্মপরিবেশও ব্যাহত হয়। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের নির্দিষ্ট কোম্পানির বা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখতে প্রভাবিত করার অভিযোগও রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।